সাংবাদিক রোজিনার সাজা সাত দিন জেল
খন্দকার জালাল উদ্দীন
দৈনিক প্রথম আলো’র সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ২৩ ঘন্টা নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দিয়ে হেন¯তা, রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব ক্জাী জেবুনেছা বেগম কর্তৃক সংবাদ সংগ্রহের কাজে যাওয়া সাংবাদিককে বিভিন্ন কর্মচারী পুলিশ দিয়ে হয়রানী,
নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো, জামিন মঞ্জুর না হওয়া ও শোনানীর পর আদালত কর্তৃক জামিনের আদেশ বিলম্ব, সবই তার সাজা,তবে সত্যের জয় হবেই। পচা ঝিনুকে পা কাটার মত ক্ষত বিক্ষত হয়ে, অবশেষে জামিন হলো।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা কোন মন্ত্রণালয়ের ঘুষ দূর্নীতি ও অনিয়মের খবর কোন সাংবাদিক আর কখনো পরিবেশন করার সাহস না পায়, এ কথা চিšতা করে তাকে বিভিন্ন ভাবে কাল ক্ষেপন করে প্রায় সাত দিন জেল খাটানো হয়েছে। সকল সাংবাদিকের কন্ঠরোধ করার একটি অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে।
যারা মঞ্চে উঠে বলে সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ,জাতীর বিবেক,
ভালোই হয়েছে,পুলিশের প্রকৃত রূপকি? নীল গাড়ীর ভিতরের ও থানা হাজতের অবস্থা কি? কিভাবে অযত্ন অবহেলায় কাশিপুর কারাগারে কয়েদীদের প্রতি অন্যায় করা হয়, এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যাবে।
দূর্নীতিবাজদের উৎসাহিত করে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ! মুক্ত সাংবাদিকতা বাংলাদেশে আশাকরা বৃথা। সাংবাদিকতার দ্বায়ীত্ব রাজনৈতিক নেতাদের ছাপায় গাওয়ার মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকতে হবে? দেশের হাজার হাজার মানুষ যখন সাংবদিকের মুক্তির জন্য রা¯তায়, কোন টনক নড়েনি দেশের দ্বায়ীত্বশীল ব্যাক্তিদের।
এ পর্যšত কোন আন্দলোন বৃথা যায়নি যাবেনা। সরকার রোজিনাকে জেলে পাঠিয়ে সাংবাদিকদের শিক্ষা দিতে চায় ,সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাদের দূর্নীতি প্রকাশ নিয়ে বেশী লাফালাফি না করা হয়।
১৯৫২’এর ভাষা আন্দলোন, ১৯৭১,এর মুক্তিযুদ্ধ, বিরোধীরা দমানোর চেষ্টা করেছে,পারেনি। এই ডিজিটাল যুগে সাধারণ মানুষ অনেক সচেতন,তাদের ন্যায্য অধিকারের উপর হ¯তক্ষেপ হলে কেহ বসে থাকবেনা। এক রোজিনা জেল খাটলেও হাজার রোজিনার জন্ম হবে।
সাংবাদিক রোজিনাকে জেলে পাঠিয়ে নারীদের এ পেশায় নিরুৎসাহী করার চেষ্টা করা হয়েছে। যে দেশের প্রধান মন্ত্রী, সেনা বাহিনী, বিমান বাহিনীসহ অনেক ক্ষেত্রে বড় বড় ভূমিকায় নারী, সে দেশে নারীর উপর নগ্ন অত্যাচার। এ দেশ সভ্য দেশ হতে পারে না।
যে দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাই, সে দেশ সভ্য মানুষের দেশ হতে পারেনা। আসুন সকল বাধা অতিক্রম করে আমরা সভ্য দেশ ও জাতিকে উপহার দেয়।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি