দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া দৌলতপুরে চরদিয়ার কল্যাণপুরী দরবার শরিফের ভিতরে হরিণগাছি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে খাদেম রাসেদ কে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় থানায় মামলা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এজাহার অনুযায়ী রাসেদ এর পরিবারের দাবী রাসেদ গত চার মাস যাবৎ দরবারে ছিলো, তাকে বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি। গত ৬ জুন রবিবার তাকে পরিকল্পিত ভাবে দরবারের পীর তাছের আলীর উপস্থিতিতে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদি হয়ে আস্তানার পীর তছের উদ্দিন সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনের নামে দৌলতপুর থানায় মামলা করেছে।
নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক মেম্বর জানান,তছের উদ্দিন একজন ভন্ড পীর সেজে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে আসছে। নানা ধরণের কৌশল খাটিয়ে মানুষকে ভক্ত তৈরী করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে চলেছে। তিনি আরো জানান, মোবাইল চুরি বিষয়টি ছড়ানো হচ্ছে। আসলে রাশেদ হয়ত পীরের গোপন জারিজুড়ি দেখে ফেলেছিল, তাই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
রাসেদ কে এ বিষয়ে তদন্ত করে সুষ্টু বিচার দাবী করে পরিবারটি।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, দরবার শরিফের নাম ব্যবহার করে তাছের বাহিনী এলাকায় নানা অনিয়ম করে আসছে। এলাকায় জমি দখল বাড়ি ঘর ভাংচুর লুটপাট,নদী দখল সহ বিভিন্ন অন্যায় ও অনিয়ম করে আসছে।
তাদের ভয়ে এলাকায় কোন মানুষ মুখ খুলার সাহস পায়না। মুখ খুললেই তাদের উপর নেমে আসে কঠিন নির্যাতন। সম্প্রতি সময়ে মারামারি ও বাড়িঘর ভাংচুরের মামলা হয়েছে তাছের বাহিনীর নামে।
এ বিষয়ে তাছের পীরের পক্ষ থেকে তার ভক্তরা জানান, আমাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অনেক আগে থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছে। কিন্তু রাসেদ দবারের মোবাইল চুরি করায় ভক্তদের মাঝে কথা কাটাকাটি করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঐ আস্তানার পীর তছের উদ্দিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, ঘটনায় জড়িত ঐ আস্তানা থেকে ৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা ছলছে। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা রাশেদ কে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছিন আরাফাত জানান, দরবারের ভিতরে দরবারের লোকজন রাসেদ নামের একজন কে পিটিয়ে আহত করে, ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় সেখানে রাসেদ মারা গেলে তাকে রেখে বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ছয় জন আসামী আটক হয়েছে।