দৌলতপুরে রেজি: বিহিন পিচ এন্ড স্মাইল ভূই ফোঁড় সাংস্থার শাহ নেওয়াজ টিটুর সন্ত্রাসী ও অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রেজি: বিহিন পিচ এন্ড স্মাইল ভূই ফোঁড় সাংস্থার শাহ নেওয়াজ টিটুর সন্ত্রাসী ও অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে নির্যাতিত ভুক্ত ভোগীরা।
হলুদবাড়িয়া-জয়ভোগা মসজিদের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ভোলার সভাপতিত্বে ১২ জুলাই সোমবার,মাওলানা দাউদ হোসেন নিজামিয়া মাদ্রাসা হলরুমে,সম্মেলনে খন্দকার আরিফুজ্জামান আরিফ, কাজী আবু মুছা আনছারী পিন্টু,কাজী মাওলানা মেকদাদ হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করে যে বিষয় গুলি হুবহু তুলে ধরা হল,
তারা জানান আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়ে জানাতে চাই, গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হলুদবাড়ীয়া-জয়ভোগা মসজিদে ঈদের জামাত ‘কখন হবে কিভাবে হবে’ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আমরা কমিটির সহসভাপতি খন্দকার আরিফুজ্জামান আরিফ, কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা আনছারী পিন্টু এবং ঈদগাহ-মসজিদের ইমাম মাওলানা মেকদাদ হোসেন কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
আলোচনায় পরিকল্পিত ভাবে রেজি: বিহিন ”পিচ এন্ড স্মাইল” ভূই ফোঁড় সাংস্থার শাহ নেওয়াজ টিটু,কিবরিয়া,শাহিন,টিপু,তাদের পিতা হাফেজ গিয়াস উদ্দীন এবং তাদের ভাড়া করে আনিত সন্ত্রাসী এনামূল ও এনামূলের ছেলে নিনজা,
এনামূলের ভাস্তে জয়ভোগা কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মচারী রনিসহ প্রায় ৫০ জন সন্ত্রাসী উপস্থিত হয়ে মাওলানা মেকদাদ সম্পর্কে নানা রকম উদ্ভট অভিযোগ দায়ের করে এবং মসজিদ ও ঈদগাহ জামাতের ইমাম থেকে বহিস্কারের প্রস্তাব উপত্থাপন করে, পরে বিশেষ সূত্রে জানতে পারি মাওলানা মেকদাদকে সরায়ে টিটুর পিতা হাফেজ গিয়াস উদ্দীনকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ করা হবে।
এলাকার জনগণ এ প্রস্তাব সাথে সাথে প্রত্যাক্ষান করে এবং প্রতিবাদ জানায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকের মধ্যে হাতা হাতি শুরু হয়। আমরা কমিটির লোকজন বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি এবং আইনের আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য দৌলতপুর থানা পুলিশে খবর দেয়। এ বিষয়ে সুষ্ঠ বিচারের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত শনিবার আমরা জানতে পারি, তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় আমাদের সন্ত্রাসী বানিয়ে একটি মিথ্যা-বানোয়াট ভিত্তিহীন উদ্যেশ্য প্রণোদিত খবর প্রচার হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসী না, আমাদের এমন রেকড নাই, আমরা উক্ত খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
যারা প্রকৃত সন্ত্রাসী তাদের বিস্তারিত তথ্য জানান সম্মেলনে, হাফেজ গিয়াস উদ্দীন : তিনি বিএনপি জোটের আল্লাামা আজিজুল হকের নেতৃত্বে পরিচালিত ইসলামী ঐক্য জোট দলের সক্রিয় নেতা ছিলেন এবং দৌলতপুরে ভোট করেছেন। তিনি গত ২০১৫ সালে আমদহ বোর্ড পাড়া জামে মসজিদে ইমাম থাকা কালে গ্রামের নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর বিয়ে পড়ানোর অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে ২ মাসের জেল খেটেছেন। তিনি সন্ত্রাসী ছেলেদের অত্যাচারে গলাই রশি দিয়ে আত্বহত্যা করতে গিয়েছিলেন, এলাকাবাসী বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
হাফেজ কিবরিয়া : হাফেজ গিয়াস উদ্দীনের বড় ছেলে কিবরিয়া জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিল, আওয়ামীলীগ সরকারের জঙ্গি দমনের সময় এলাকাবাসী দেখেছে তার দাঁড়ী গোঁফ ক্লিন সেভ করে আত্বগোপন করে বাড়ীর আশেপাশে লুকিয়ে থাকতো। পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
শাহিন: হাফেজ গিয়াস উদ্দীনের মেজ ছেলে শাহিন একজন প্রথম সারির সন্ত্রাসী, দৌলতপুর থানার রের্কড খুঁজলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতায়, বোমাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তার বিরুদ্ধে ১ ডজনের রেশি অভিযোগ পাওয়া যাবে।
শাহ নেওয়াজ টিটু: সক্রিয় জামায়াতে ইসলাম এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্র শিবিরের সক্রিয় সদস্য, যার উত্তরসরি হিসেবে বিভিন্ন মুসলিম দেশের ইসলামী সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। রেজি: বিহিন ”পিচ এন্ড স্মাইল” ভূই ফোঁড় সাংস্থার শাহ নেওয়াজ টিটু দাতা সেজেছেন।
বিভিন্ন দুতাবাস থেকে গরীব ও দুস্থ মানুষের নামে সাহায্য এনে নামমাত্র এলাকায় বিতরণ করে এবং নিজে কোটি কোটি টাকা আত্বসাত করে। উল্লেখ্য তার বাবার এমন কোন সম্পদ নাই, বা তার কোন ব্যবসা বাণিজ্য নাই, যা দিয়ে বিলাস বহুল বাড়ী ও গাড়ী ক্রয় করেছেন। দুদক অনুসন্ধান করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়, সে এখনো জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত।
এনামূল হক : এনামূল হক এক সময় চুরি, ডাকাতী, ছিনতায়, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ব্যাক্তি। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নাসিমের সময় তার দলের লোকজন আত্বসর্মপন করলে সে গরু ও সোনা ছিনতায়ের টাকা সহযোগিদের ফাঁকি দিয়ে বিদেশে পাড়ী জমায়।
সে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করে। প্রকৃত পক্ষে সে কোন মুক্তিযোদ্ধা নয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। রের্কড খুঁজলে তার বয়স পাওয়া যাবে, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ১০ বছর। তার ও তার ভাই, ভাস্তেদের বিরুদ্ধে পরের জমিদখল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বহু রের্কড আছে।
সম্মেলন শেষে ভূক্ত ভোগীরা বলেন, আমরা শান্তি প্রিয় মানুষ, শান্তি চাই, আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে ও প্রসাশনকে অবগত করতে চাই, মুখোশ ধারী রেজি: বিহিন ”পিচ এন্ড স্মাইল” ভূই ফোঁড় সাংস্থার শাহ নেওয়াজ টিটু দাতা সেজেছেন, তার প্রকৃত ইতিহাস কি? বিষয়টি তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রসাশনের দৃষ্টি আর্কষণ করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।