দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রশিদ মাষ্টারের নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। ১৫ আগস্ট রবিবার সকাল ৬ টা থেকে দিন ব্যাপী আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণের মধ্যে দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আজিজুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রী দুলাল দেবনাথ, সভাপতিত্ব করেন মোঃ আব্দুর রশিদ মাষ্টার।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ জিললুর রহমান, ডা: কিতাব আলি, মো: ইউনুচ আলি, আতিয়ার রহমান, মো: নাহারুল ইসলাম মাষ্টার, মো: রফিকুল ইসলাম সহ এলাকার আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সূচীর মধ্যে ছিল কাল ব্যাচ ধারণ, পতাকা উত্তলোন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন,আলোচনা, দোয়া মাহফিল ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করে। তবে এবারও বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা , বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। শহিদ পরিবারের সদস্যদের আত্বার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।