দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে থাকায় এর তীর বর্তী চিলমারি, রামকৃষ্ণপুর ও মরিচা ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে তিন ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, গত কয়েক দিনে পানির উচ্চতা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার বিপদ সীমা নির্ধারণ আছে ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। সেখানে পানির উচ্চতা ১৩ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার, যা সর্তকবার্তা।
কুষ্টিয়া পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ.কিউ.এম জহুরুজ্জামান বলেন, হঠাৎ পানি বাড়ছে। আরও দু–এক দিন পানি বাড়ার পর কমতে পারে। তবে আমাদের ধারনা পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করবেনা।
এ বিষয়ে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, তার ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ এখন পানি বন্দী।
তিনি আরো জানান, ৬০ ভাগ এলাকার বসতবাড়ি পানিতে প্লাবিত । চরম দুর্ভোগে রয়েছেন পানি বন্দী মানুষ গুলো ।
এ নিয়ে চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ জানান, তার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন এর বন্যার পানি ঢোকার খবর পেয়ে তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি দল প্লাবিত এলাকায় পাঠিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি লেখা হচ্ছে। সহযোগিতা পেলে আমরা বন্যা কবলিত এলাকায় তা বিতরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।