দৌলতপুর প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদীতে নিখোঁজ নারীর লাশ প্রায় ৪০ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
গত ২৭ আগষ্ট বেলা সাড়ে ৩ টার সময় মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে আনজুয়ারা খাতুন (৩৫) নিখোঁজ হয়। বাড়ীর পাশে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গেলে খরস্রোত নদীতে তলীয়ে যায় আনজুয়ারা খাতুন।
এলাকার লোক জন অনেক খোজা খুজির পরও সন্ধান করতে পারেনি নিখোঁজ আনজুয়ারা কে। পরদিন গত ২৮ তারিখে খুলনা থেকে ডুবুরি এসে দিনভর খোজা খুজি করেও সন্ধান করতে পারেনি।
রবিবার সকাল সাত টার সময় স্থানীও লোকজন মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ের জঙ্গলে আটকে থাকতে দেখলে সাথে সাথে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও স্থানীও লোকজন এসে আনজুয়ারা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে।
তিন সন্তানের জননী আনজুয়ারা খাতুন দৌলতপুর সীমান্তের ধর্মদহ গ্রামের আকালী কারীগরের মেয়ে। সে ভেড়ামারা উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের মৃত আনারুল ইসলামের স্ত্রী। স্বামী আনারুলের মৃত্যু হয় তিন বছর আগে, অভাবের কারণে তিন সন্তান সহ আনজুয়ারা চলে আসে বাবার বাড়ীতে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসির উদ্দীন জানান,দৌলতপুর সীমান্তের ধর্মদহ গ্রামের আকালী কারীগরের মেয়ে আনজুয়ার াখাতুন (৩৫) গত ২৭/০৮/২১ ইং আনুমানিক বেলা ০৩ঃ৩০ টার সময় মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়, দু‘দিন স্থানীও লোকজন ও গত কাল খুলনা থেকে ডুবুরি এসেও সন্ধান করতে পারেনি।
২৯ তারিখ সকাল সাত টার সময় স্থানীও লোকজন ফোন কওে জানালে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করি। লাশের সুরত হাল প্রস্তত কওে লাশ দাফনের জন্য তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।