দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পুরাতন আমদহ গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের বিধবা বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিরা এক বছর যাবৎ ভাতার টাকা থেকে বঞ্চিত হয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান, সমাজ সেবা অফিসার ও থানায়সহ নানা স্থানে ঘুরে কোন পথ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে গর্ভবতী মহিলাসহ সমাজ সেবা অফিসে আমরণ অনশন করেছে।
৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে যত থেকে শুরু করেছে, যতক্ষণ টাকা না দেবে আমরণ অনশন করবে ভুক্তভোগীরা । তারা জানায়, বিধবা বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতা ভোগী, গত বছর ডিসেম্বর মাসে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর/২০২০ পর্যন্ত ভাতার টাকা ব্যাংক থেকে পেয়েছি। তার পর জানতে পারি মোবাইলে ম্যাসেজ আসলে টাকা পাবো। কিন্তু এ ম্যাসেজ এক বছর হতে চললো আর আসেনা। আমরা অনেকে গ্রামের দোকানে ঋণ করে জীবন ধারণ করে থাকি, ভাতার টাকা আসলে পরিশোধ করি।এখন টাকা না পওয়ায় ভুক্ত ভোগীদের কেহ ধার দেনা দিচ্ছে না, এ নিয়ে চরম হতাশায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে ভাতা ভোগীরা।
এর মধ্যে সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে জানতে পারি আমাদের কার্ডের টাকা বিভিন্ন মোবাইলে চলে গেছে, এ ব্যাপারে সমাজ সেবা অফিস থেকে ভুল নম্বর গুলি আমাদের লিখে দিয়েছে। আমরা ঐ নম্বরে যোগাযোগ করে বন্ধ পায়, কিছু কিছু নম্বর চালু থাকলেও টাকা তো দুরের কথা তারা সঠিক ঠিকানা দিচ্ছে না। এ বিষয় নিয়ে নানা রকম সমস্যা ও জটিলতা দেখা দিয়েছে।
গত বছরের টাকা ও আগামীতে দেও টাকা পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি না। গত বছরের টাকা পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
কার্ড ধারীরা বলেন, আমরা এ মহল্লায় প্রায় ১০০ কার্ডধারী, যে মোবাইল নম্বর গুলিতে টাকা গিয়েছে, সে নম্বর গুলি আমাদের না, এ নম্বর গুলি কে, কারা তাদের স্বার্থে লিখে দিয়েছে ? আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাই। আমরা অসহায় আমাদের বিগত দিনের টাকা উদ্ধারসহ আগামীতে টাকা নিজ নিজ কার্ডে ও নিজ মোবাইলে পেতে চাই, এর জন্য আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে গরীবের টাকা আত্বসাত কারীর বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে পিয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ লালু বলেন, এই টাকা গুলি সমাজ সেবা অফিসের মাঠ পর্যায়ের কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজোশে আত্বসাত হয়েছে, তারা বিভিন্ন ইউনিয়নে গরীব অসহায় মানুষের কোটি কোটি টাকা আত্বসাত করেছে, সঠিক তদন্ত হউক, কে এর জন্য দায়ী। আমাদের চেয়ারম্যান বা মেম্বর যদি জড়িত থাকে তাদের আইনের আওতায় আনা হউক।
সমাজ সেবা অফিসার আতাউর রহমান জানান, এক সপ্তাহর মধ্যে তাদের ব্যবস্থা হবে।
ইউ.এন.ও শারমিন আক্তার জানান, বিষয়টি আমার নয়, আমি তাদের অনশন ভাঙাতে যেতে পারি না। পরে তিনি ভুক্ত ভোগীদের কাছে গিয়ে শান্তনা দিলেও তারা রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত অনশনে আছেন।