মেহেরপুরের গাংনীতে বৃষ্টির পানিতে প্রায় ২০ টি পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলের নিকট একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঘূর্ণাবর্তটির প্রভাবে মেহেরপুরসহ খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষন হচ্ছে। আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর), দুপুরের দিকে ভারী বর্ষনের কারণে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের ১৮ টি পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও গত দেড় মাস যাবত ১ টি বাড়ির ভিতরে জলাবদ্ধতা অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিনে নওপাড়া মধ্যপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামের জামিরুল ইসলামের বাড়ির উঠানে প্রায় হাঁটু পানি জমে রয়েছে এবং বাড়ির চারিপাশে হাঁটু কোথাও কোমর পানি জমে রয়েছে।
এছাড়াও পার্শ্ববর্তী আমিরুল ইসলাম, বৈতুল্লাহ, জহির আহমেদ, খলিলুর রহমান, মজনুর রহমান, পল্টু মিয়া, আমীর হামজা, মঙ্গল মিয়া, নিফাজ আলী, শাহীন, কামরুল ইসলাম, বাবু, শাহার আলী, ছেন্টু মিয়া, মন্টু মিয়া, রিপন ও শিমুলের বাড়ির পাশে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নির্দিষ্ট পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই সেখানে পানি জমে থাকে। যেকারণে বিশুদ্ধ পানি সংকটের আশংকা রয়েছে। এছাড়াও হাঁটু পানি জমে থাকার কারণে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নিয়েও তারা আতংকিত। নজরের আড়াল হলেই ঘটতে পারে শিশু মৃত্যুর ঘটনা।
তাছাড়া দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, প্রতিনিয়ত জন্ম হচ্ছে নতুন নতুন মশার। যেকারণে ডেঙ্গু, ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিও কিন্তু কম নয়। জলাবদ্ধ পরিবারের কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, অল্প বৃষ্টিতেই এখানে হাঁটু পানি জমে এবং বেশ কয়েকদিন পানি জমে থাকার কারণে দোকানসহ প্রায় ১৫ টি পরিবারের লোকজন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বাড়ি থেকে বাইরে বেরুলেই পানি। চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। পানি বের হবার নির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় কিন্তু এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে স্হানীয় ইউপি সদস্য কে অবহিত করা হলেও সুনির্দিষ্ট কোন সমাধান দিতে পারেনি।
তাছাড়া কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা মাঝে মধ্যে এ সড়ক দিয়ে চলাচলের সময়ে এমন অবস্থা দেখেও কোন ব্যবস্থা নেননি। স্হানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, সড়কে একটি পুলের ব্যবস্থা করলেই কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব।
পুলটি নির্মান কাজ সম্পন্ন হলে জমে থাকা পানি খুব সহজেই কাজলা নদীতে চলে যাবে। এমতাবস্থায় নওপাড়া গ্রামের প্রায় ২০ টি পরিবারের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবন ধারণে দ্রুত গতিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হোক। উক্ত জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান, ইউএনও মহোদয় ও মেহেরপুর-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী জনগণ।