1. raselahamed29@gmail.com : admin :
  2. uddinjalal030@gmail.com : jalal030 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন

দৌলতপুর আড়িয়া ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান ক্যাডারদের হামলায় আহত ৪ ঘর ছাড়া বহু নৌকা সমর্থক

Khandaker Jalal Uddin. Email: uddinjalal030@gmail.com
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১
  • ৬৯৫ Time View

 

দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গত ২৮ নভেম্বর শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয় ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনের পরে বিভিন্ন জায়গাতে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ১৪ নং আড়িয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ আনছারি বিপ্লব। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মোটরবাইক প্রতিকে মাঠে ছিলেন ইউনিয়ন আ’লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি হেলাল উদ্দিন। বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল উদ্দিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় রাতেই তার ক্যাডাররা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের উপরে হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুর করতে থাকে।
এতে নৌকার এজেন্ট সহ চার জন আওয়ামী লীগ কর্মি আহত হয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। আহতরা হলেন মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ কালু সর্ব গ্রামঃ আড়িয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলী, মোঃ দোস্তুল হেসেন সর্ব গ্রামঃ বড়গাংদিয়া। দোস্তুল হোসেনকে পিটানোর সময় তাকে রক্ষার্থে স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও শারিরিক ভাবে হেনস্তা করে। এছাড়াও অনেক নৌকা সমর্থককে বাড়িতে না পেয়ে তাদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাংচুর করে লুটতরাজ করেছে হেলাল সমর্থক ক্যাডারবাহিনী।
এই সব হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনের আপন মামাতো ভাই রাঙ্গা ও বড়গাংদিয়ার লালবাদশা ওরফে লালচাঁদ নামে দুই ক্যাডার। তারা মামুন, বিদ্যুৎ, নকিম, শাহাজুল,শাকিল সহ ৫০/৬০ জনের দুইটা বাহিনী দুই ভাগে ভাগ হয়ে আওয়ামী লীগ কর্মি ও সমর্থকদের উপরে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে যাচ্ছে। ভোটের রাতে লালনগরের রাজা মাস্টারকে না পেয়ে তার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুট করে হেলাল চেয়ারম্যানের ক্যাডার রাঙ্গার নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন। পরের দিন সকালে বড়গাংদিয়া সেন্টারমোড়ে নৌকার এজেন্ট সুমনকে না পেয়ে তার বাড়িতে হামলা করে লালবাদশা ওরফে লালচাঁদের নেতৃত্বে ২৫/৩০ ক্যাডার।
পরে তারা সুমনের বাবার চায়ের দোকানে হামলা করে এবং তার বাবা দোস্তুলকে পিটিয়ে আহত করে। এব্যপারে সাঈদ আনছারি বিপ্লব বলেন ভোটের ফল প্রকাশের পর আমার সমর্থক, নেতাকর্মীর উপরে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিনের ক্যাডাররা হামলা, ভাংচুর করতে থাকে। তারা আমার লোকদের নিয়মিত প্রাণনাশের হুকমি দিয়ে যাচ্ছে। আমার ৪ জন কর্মি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আমার প্রায় ২০০ নেতাকর্মী, সমর্থক ঘর-বাড়ি ছাড়া। তাই দৌলতপুর থানাতে আমি এজাহার জমা দিয়েছি। এব্যপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবীদ হাসান বলেন এসএম জাবীদ হাসান বলেন নির্বাচন পরবর্তি যে সহিংসতা তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। পুলিশ যথেষ্ট এলার্ট আছে। আড়িয়ার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 biplobidiganta.com

Design & Developed By : Anamul Rasel