দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিভিন্ন রাস্তার সামাজিক বনায়ন কর্মসূচীর আওতায় থাকা অর্ধশত বছরের বৃক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে নিধন চলছে।
জানাগেছে সম্প্রতি উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের আমদহ গ্রামের জালাল মাষ্টারের বাড়ির সামনে থাকা অর্ধশত বছরের কড়ুই গাছটি কাটা হয়েছে। এলাকার যুবক জনি জানান হামু চকিদার গত ৭ মে বেলা সাড়ে ১২দিকে লোকজন নিয়ে কড়ুুই গাছটি কেটে ফেলে, সে জানাই চেয়ারম্যান সোহেলরানা বুলবুল গাছটি কাঁটতে বলেছে, এ ব্যাপারে কথা বললে, চেয়ারম্যান বিষয়টি চেপে যেতে বলে। ঘটনা অন্য রকম বুঝে, এলাকাবাসী জেলা প্রসাশক মহদয়,উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল জাব্বার ও বন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। বন-বিভাগ কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে বিশাল বৃক্ষ দেখে হতবাক হন। তিনি অফিসে খবর নিয়ে জানতে পারেন, জয়ভোগা কলনীপাড়া এলাকায় মাতুর বাড়ির সামনে একটি গাছ ঝড়ে উপড়ে গেলে, সে গাছটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়।
বর্তমানে গাছটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এদিকে চকিদার ও গাছ কাটা লোকজন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়। জানাগেছে দৌলতপুর বন-বিভাগ এর মাঠ কর্মী গাছ খেকো কবীর, এ কাজ গুলি করায়েছে। প্রায় দেখা গেছে বড়বড় গাছ গুলি অদৃশ্য কারণে কাঁটা হয়, জিজ্ঞাসা করলে বন-বিভাগের নির্দেশে-উপজেলার নির্দেশে কাঁটা হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে বন-বিভাগের কবিরের মত একশ্রেণির কর্মচারীর যোগসাজোসে ও প্রভাবশালীদের নির্দেশে নীরবে বিভিন্ন রাস্তার বৃক্ষ নিধন চলছে। এলাকাবাসী তদন্ত পূর্বক বৃক্ষ কর্তন রোধ ও দূষিদের চিহ্নিত করে শাস্তি দাবী করেছেন।