খন্দকার জালাল উদ্দীন ঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রি করার প্রতিবাদ করায় মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দেওয়ায় ও থানার এস.আই কামরুল তদন্ত না করে চাঁদাবাজি মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করায়, রবিবার দুপুরে আল্লারদর্গা প্রেসক্লাবে এস.আই কামরুল ও কাজী ওলিউল্লাহর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী বিশু নামের এক ব্যাক্তি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আতিকুর রহমান বিশু বলেন, ফিলিপনগর ইউনিয়নের ফিলিপনগর গ্রামের মৃত নূরমোহাম্মদ এর ছেলে ওলিউল্লাহ, তিনি পেশায় একজন গাড়ীচালক। তিনি অবৈধভাবে বিগত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে বাল্য বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রি করে আসছেন।
বিশু বলেন, তিনি গত কোরবানীর ঈদের আগে গোপনে আমার অনুপস্থিতিতে আমার নাবালিকা মেয়ের বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেন। আমি বাড়ী এসে তার কাছে আমার নাবালিকা মেয়ের অবৈধ ভাবে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করার বিষয়টি জানতে চাইলে ওলিউল্লাহ কাজি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বলে আমি নাবালিকার বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেছি তুই যা খুশি করে নিশ।
এমতাবস্থায় বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়ে তার পরের দিন আবার কাজী ওয়ালিউল্লাহর বাড়ীতে কাবিন নামা আনতে গিয়ে দেখি অন্য এক নাবালিকা মেয়ের বিয়ে রেজিষ্ট্রি করছে আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে তার বাড়ী থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়, আর বলে তোর মেয়ের কাবিন নিতে হলে মোটা অংকের টাকা লাগবে নইলে পাবিনা।
বিষয়টি চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টুকে জানানোর কারনে আমার উপর রাগাম্বিত হয়ে কাজী নীজের ঘরের আসবাব পত্র নিজে নিজে ভেঙ্গে আমার নামে ও অপর ৩ জনের নামে দৌলতপুর থানায় ভাংচুর, চুরি ও চাঁদাবাজীর মিথ্যা মামলা দেয়।
মামলাটি সঠিক তদন্ত না করে, এস আই কামরুল মোটা উৎকোচের বিনিময়ে কিছু বোঝার আগেই,কৌশলে মামলা রেকর্ড করে জেল হাজতে পাঠাই, আমি ১৫দিন পর জামিনে মুক্তি পেয়েছি। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওলিউল্লাহ কাজী’র বিরুদ্ধে আনিত সকল অনৈতিক কাজের তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি, আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী,লালচাঁদ বাহিনীর ক্যাডার ওলিউল্লাহ কাজী’র বিরুদ্ধে আনিত সকল অনৈতিক কাজের তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এ সময় তিনি আরো দাবি করেন দৌলতপুর থানা এস.আই কামরুল আমার মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত না করে আমাকে ডেকে এনে চাঁদাবাজি মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করে। আমি জামিনের মাধ্যমে বের হয়ে এসেছি। তাই আমার জোর দাবি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মামলা থেকে আমাকে অব্যাহত দেয়া হোক।
ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টু বলেন ওলি কাজি দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক ভাবে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্য বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে আসছে এর আগে এমন অনৈতিক কাজের জন্য ২/৩ বার জেল খেটেছে প্রশাসনের কাছে আমার দাবি তাকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে বিকেল ৬টার দিকে এস.আই কামরুলের কাছে জানতে একাধিক বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিট করেন নাই। এ বিষয়ে কাজী ওয়ালিউল্লাহ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।