দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিবেশীকে হত্যা মামলার অভিযোগ এনে ফাঁসানোর চেষ্টা করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।
৩০ মে সোমবার সকাল ১১টায় আল্লারদর্গা প্রেস ক্লাবে এসে, সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, আমি মোঃ তৌহিদুল ইসলাস, পিতা-মৃত গোলাম মিয়া, গ্রাম-মথুরাপুর দর্গাতলা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া। গত ২৫ জানুয়ারী ২০২২ মঙ্গলবার বেলা ৩ টার দিকে আমার বাড়ীর পূর্বে, আপন বোন রিনা ঘরের মধ্যে একজনকে আটকে রেখে, তার বাড়িতে তালা মেরে বাড়ির বাইরে চলে যায়। আমি,আমার ছেলে শামীম,আমার অপর ভাই তমিজ উদ্দীন ও ভাস্তে এমপি পারিবারিক কাজে বাড়ির বাইরে ছিলাম। বেলা ৪টার দিকে বাড়ির ফোনে জানতে পারলাম রিনার ঘরে একজন লোক আছে, এলাকার কিছু লোক ও হাটের মানুষ ঘিরে রেখেছে। আটকানো লোকটি পূর্ব পরিচিত,নাম সানুয়ার, তার স্ত্রী অসেদা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসে একটি মোবাইল নং ০১৭৭৩১৮২৫২৩ অজ্ঞাত কারণে দিয়ে গিয়ে ছিল, আমি বাড়িতে এসে ঐ নম্বরে ফোন করে তার স্ত্রীকে বিষয়টি জানায় এবং একজনকে দিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করায়। পরে জানতে পারি ছানুয়ার ঘরের ভিতর আত্বহত্যা করেছে। ৬টার দিকে পুলিশ এসে ঘরের জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে লাশ বাহির করে। পুলিশ অপমৃত্যু মামলা করে যার নং ০৬/২০২২ এবং রিনা ও রিনার ছেলে পারভেজ কে গ্রেফতার করে, পরে ২৬.০১.২২ তারিখ ছানুয়ারের ভাই আজগর আলি বাদী হয়ে রিনা ও রিনার ছেলে পারভেজ ছেলে পারভেজ কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করে. মামলাটি ইউডি মামলার পর অজ্ঞাত কারণে পুলিশ হত্যা মামলা রেকর্ড করে, যার নং ৪৬/২০২২। আমরা ঘটনার ৩ মাস পর থানা-পুলিশের সাথে সংশি¬ষ্ট কিছু ব্যাক্তির মাধ্যমে জানতে পারি আমাদের নামে ”হত্যায় প্ররোচনা” মামলা হতে যাচ্ছে,বাদি কিন্তু প্ররোচনা ধারায় মামলা করেনি। আমারা কোন ক্রমেই এই দোষে দূষি নয়। এলাকার সূধিজন, মেম্বর-চেয়ারম্যান আমাদের জানেন এবং চেনেন,তাদের সাথে কথা বলে দেখবেন আমরা কোন প্রকৃতির মানুষ। আমাদের বিরুদ্ধে এমন মামলা হলে সাধারণ মানুষ পুলিশের প্রতি ও আইনের প্রতি আস্থা হারাবে এবং বে-আইনী কাজ হবে। উল্লেখ্য যে আমার বোন রিনা কিছু অসামাজিক কাজের সথে জড়িত থাকার কারণে, তার সংগে অনেক আগেই আমাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এ ছাড়া আমার বোনের অসামাজিক কাজে বাঁধা প্রদান করতে গিয়ে ঘরে সিঁদ কেটে চুরি তারিখ ১১.০৬.২০০৫, গরুকে বিষ দিয়ে হত্যর চেষ্টা (২৭.০৯.২০০৯)সহ আমরা নানা ভাবে তার ৭/৮ জন পোষা বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি। তাই আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, হত্যায় প্ররোচনা মামলা যদি হয়, তাহলে রিনার পোষা বাহিনীর নামে হলে এলাকয় স্বস্তি নেমে আসবে, পুলিশের প্রতি ও আইনের প্রতি মানুষ শ্রোদ্ধাশীল হবে। আমরা অত্যন্ত গরীব অসহায় মানুষ, কোন মতে জীবন যাপন করি। প্রতিদিনই কর্মের তাগিদে বাইরে থাকতে হয়। বিষয়টি আপনারদের মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরলাম। পুলিশ এজাহার ভূক্ত আসামীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে দেওয়ার মত, মামলাটি অন্য খাতে চালানোর পাঁয়তারা করছে। পুলিশের দালাল,মাদক ব্যবসায়ী বা এজাহার ভূক্ত আসামী পক্ষের সাক্ষী নিয়ে, আমাদের আসামী বানানো হচ্ছে, এটা উচিৎ হবেনা। এ ছাড়া এলাকার দু’জন পেশাদার সাক্ষীকে মামলার সাক্ষী করা হয়েছে. যারা ব্লাক মেইল করে ২০/২৫ হাজার টাকা নিয়ে সাক্ষী দেয়। পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী, নিরোপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দূষিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হউক। সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক গণ উপস্থিত ছিলেন।