জনগণের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ, ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ নাই হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার চার হাত পায়ের রগ কাটা ! প্রকৃত খুনি কে ? জানতে চাই জনগণ।
-টোকেন চৌধূরী
রনি আহমেদ : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের জনগণের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যুবলীগ নেতা বুলবুল আহাম্মেদ টোকেন চৌধুরী, ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ নাই হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার চার হাত পায়ের রগ কাটা ! প্রকৃত খুনি কে ?জানতে চাই জনগণ।
মহামান্য হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে আগাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরীসহ ৮ আ.লীগ নেতা কর্মী। সোমবার মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি মুস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোঃ সেলিমের বেঞ্চ তাদের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে মুক্তি পেয়ে বুধবার দুপুরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরীসহ লীগের নেতাকর্মীরা আল্লারদর্গা আসার পথে ভেড়ামারা সীমানা থেকে তাদের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়। পরবর্তীতে প্রায় দুই হাজার মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী, তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যুবজোট নেতা সালাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাদের পরিবারে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমাদেরকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে যুব লীগের এই নেতা বলেন, আমরা আশপাশের লোক মারফত জেনেছি সালাম যেখানে হামলার শিকার হয়েছেন ঠিক সেই জায়গায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। ঘটনাস্থলে কোনরকম রক্তের দাগ নাই। অথচ গাড়িতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার চার হাত পায়ের রগ কাটা এবং প্রচুর পরিমাণ ব্লিডিং হতে দেখা গেছে। প্রশাসনের তদন্ত করে দেখা উচিত ওই সময় সালামকে আহত অবস্থায় কে বা কারা হাসপাতালে নিয়ে গেছিল, তাহলেই সালাম হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন হবে বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য গত মাসের ১১ তারিখ রাত ১১ টরা দিকে আল্লার দর্গা মাস্টার পাড়াতে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয় দৌলতপুর উপজেলা জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান সালাম। আহত অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত দেড়টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন মাহবুব খান সালামের বাবা আলাউদ্দিন খান বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।