আছানুল হক : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের প্রবাসীর পরিবারের লোকজন অপহরণ মামলায় জামিনে থেকেও স্বস্তিতে নেই বললেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে প্রবাসীর পিতা খাইরুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে আশরাফুলের সঙ্গে লালনগর গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। পারিবারিকভাবে সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় আশরাফুল দেশে ফিরলে মেয়ে কলেজে যাওয়ার নাম করে আশরাফুলের সঙ্গে চলে যায়। পরে আমি , আমার জামাই , জামাই এর ছোট ভাই, আমার নাতি অর্থাৎ আমার মেয়ের ছেলে সহ পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গত ১৯/৫/২২ ইং তারিখে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত আমাদের জামিন দেয় । অপহরণ মামলায় জামিনে এসে ও আমার পরিবারের লোকজন স্বস্তিতে নেই নিয়মিত ভাবে তারা আবার বিভিন্ন হবে হয়রানি করছে । গত ৪/৬/২২ ইং তারিখ রাতে মেয়ের বাবা শতাধিক লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্বর্ণালঙ্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং বাড়ির সকল সদস্যকে মারধর করে। এ সময় তিনি আরো অভিযোগ করেন লুটপাট চলাকালীন সময়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। আমরা জামিনের আছি আইনে যেটা হবে সেটাই আমরা মেনে নিতে রাজি আছি। তবে কেন আমার বাড়িঘর লুটপাট,মারধর করে আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেওয়া হবে। তাই আমি বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক সমাধানের দাবি করছি। এ বিষয়ে আমি দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে এক ভিডিওতে কলেজছাত্রী বলেন, আমার এবং আশরাফুলের তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমি নিজের ইচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে এসে আশরাফুলের সঙ্গে বিয়ে করেছি। এ ঘটনায় আশরাফুলের পরিবারের কোনো লোকজন বা বাহিরে কোন লোকজন জড়িত না।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রীর পিতা জানান, মামলা করেছি তারা আটক হয়েছিল সব ঠিক আছে। তারা জামিনে এসেছে কিন্তু আমার মেয়ে তো উদ্ধার হয়নি। আমি শুনেছিলাম যে আমার মেয়ে আশরাফুলের বাবার বাড়িতে আছে তাই আমি প্রশাসনকে নিয়ে খুঁজতে যায়।
এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামাল জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত ভিকটিম উদ্ধার হয়নি আমরা খবর পায় ভিকটিম খায়রুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছে। খবর পেয়ে সেখানে যায় আমরা ভিকটিম না পেয়ে চলে এসেছি। সেখানে আমাদের উপস্থিতিতে মারধর লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।