খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা পার্টি অফিসে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্দোগে নানা আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
২৩ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আল্লারদর্গা বাজার কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধূরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দৌলতপুর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: সেলিম চৌধূরী, আওয়ামীলীগ নেতা মোতাছিমবিল্লাহ, সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন বিশ্বাস, জামিরুল ইসলাম বাবু, এ.কে.এম.ফজলুল হক কবিরাজ, আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম হালসানা, হাফিজুর রহমান, আক্তার হোসেন, নেহেরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আয়েজ উদ্দীন মাষ্টার, নাহারুল ইসলাম যাদু মোল্লা প্রমূখ। এ ছাড়া বিভিন্ন এ লাকা থেকে আগত নেতা কর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজনের মধ্যে ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে তাঁর প্রতি এই শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন- আওয়ামী লীগের ১৯৪৯ সনের ২৩শে জুন সকাল ১০টায় কে এম দাস লেনের বশির সাহেব এর রোজ গার্ডেনের বাসভবনে কর্মী সম্মেলন শুরু হয়। উক্ত সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী মুসলীম লীগ নামে একটি নূতন দল গঠিত হয়। সভাপতি করা হয় মাওলানা ভাষানীকে, সাধারণ সম্পাদক হন টাংগাইল এর সামসুল হক। জেলে বসে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। সেই থেকে তৎকালিন পূর্ব বাংলায় মুসলীম লীগ বিরোধী প্রথম বিরোধী দলের যাত্রাশুরু । জেল থেকে বের হয়েই সারা বাংলায় সংগঠন এর কাজে ঝাপিয়ে পড়েন শেখ মুজিব। কিছু দিনের মধ্যে পূর্ব বাংলার রাজনীতিতে নিয়ামক শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হলো আওয়ামী মুসলীম লীগ। প্রধান অতিথিা দৌলতপুরের সকল কে এক হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান।