দৌলতপুর প্রতিনিধি : ঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পাকুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের ফল অনুকূলে না আসায় আশরাফুজ্জামানসরকারী বিভিন্ন দপ্তরে হেরে যাওয়া পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
৩০ জুলাই ২০২২ তারিখে সাধারণ অভিভাবক সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি ও দাতা সদস্য পদে পাকুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রার্থীরা হলেন মোঃ আনারুল ইসলাম, মোঃ ইয়ার আলী, মোঃ খতিব মন্ডল , মোঃ গোলাম মোস্তফা, রাজিবুল হক, মোঃ রহিদুল ইসলাম , মোহাম্মদ রুহুল আমিন, শামিমুল ইসলাম, মোঃ শাহাবুল হক, মোঃ শাহাব উদ্দিন ও সুলতান উদ্দিন।
রহিদুল ইসলাম ২৩৪ ভোট পেয়ে প্রথম, গোলাম মোস্তফা ২৩৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়, ইয়ার আলী ১৯১ ভোট পেয়ে তৃতীয় ও শাহাজুল হক ১৮৭ ভোট পেয়ে চতুর্থ নির্বাচিত হন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে উম্মে হাবিবা ৩০৩ নির্বাচিত হন । সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি বিনা প্রতিদন্দিতায় নির্বাচিত হয়। সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি পদে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দুজন, জুলেখা খাতুন ও আঞ্জুমান আরা খাতুন। তারা দুজনি দুই ভোট করে পান। নির্বাচনে ফলাফল একই হওয়াতে লটারির মাধ্যমে আঞ্জুমান আরা খাতুন বিজয়ী হন। দাতা সদস্য পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জোসনা আরা বেগম ও রেবেকা পারভীন। জোসনা আরা বেগম ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না থাকায় রেবেকা পারভীন নিজেকে ভোট প্রদান করে ১ ভোটে দাতা সদস্য নির্বাচিত হন। ২ আগস্ট ২০২২ তারিখে উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিজয়ী সাধারণ অভিভাবক সদস্য , সংরক্ষিত মহিলা সদস্য , সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি, দাতা সদস্য সহ মোট ৯ জন সদস্য নিয়ে সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আশরাফুজ্জামান ও জয়নাল আবেদিন দুটি প্যানেলে সভাপতি হিসাবে প্রতিদন্দিতা করেন। ০৫ (পাঁচ) ভোট পেয়ে জয়নাল আবেদিন সভাপতি নির্বাচিত হন।
গত ৪ আগস্ট ২০২২ তারিখে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যর বৈধতা নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে আশরাফুজ্জামান লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ৩০ জুলাই ২০২২ রোজ শনিবার পাকুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে দাতা ক্যাটাগরীর ভোটার তালিকায় ০১। মোছাঃ রেবেকা পারভীন, স্বামী- মোঃ শহিদুল ইসলাম, গ্রাম- পাকুড়িয়া, ডাকঘর- মহিষকুন্ডি, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া। উক্ত ভোটার দাতা সদস্য হওয়ার জন্য যে শর্তাবলী দরকার তার কোনটা নাই। মোছাঃ রেবেকা পারভীনের স্বামী পাকুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন চাতুরীর মাধ্যমে মোছাঃ রেবেকা পারভীনকে জীবন দাতা সদস্য তৈরী করা হয়। কোনো বৈধ কাগজ-পত্র নাই। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করিবার জন্য মোছাঃ রেবেকা পারভীনকে দাতা সদস্য নির্বাচিত করেন। গত ০২ আগস্ট ২০২২ তারিখ রোজ মঙ্গলবার আপনার দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভাপতি নির্বাচনে মাত্র ০৫ (পাঁচ) ভোট পাইয়া মোঃ জয়নাল আবেদীন, পিতা- মোঃ মজিবর রহমান, গ্রাম- পাকুড়িয়া, ডাকঘর- মহিষকুন্ডি, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া সভাপতি নির্বাচিত হয়। উক্ত ০৫ (পাঁচ) ভোটের মধ্যে দাতা সদস্য মোছাঃ রেবেকা পারভীনের ভোট রহিয়াছে। সভাপতি নির্বাচনে আমি প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ০৪ (চার) । দাতার ভোট না দিলে উভয়ের ভোট সংখ্যা ০৪ (চার) হইবে। তখন সিদ্ধান্ত অন্যরকমও হইতে পারিত। এদিকে ১৯৯৫ সালে পাকুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে আজীবন দাতা সদস্য ও ভোটার হিসাবে রেবেকা পারভিন রেজুলেশনের মাধ্যমে দাতা সদস্যর পদ পান এবং ২০১৬ সালের নিয়মিত ম্যানিজিং কমিটি গঠনের লক্ষে দাতা সদস্য হিসাবে রেবেকা পারভীন ভোট প্রদান করেন। ২০১৯ সালেও নিয়মিত ম্যানিজিং কমিটি গঠনের লক্ষে রেবেকা পারভীন ভোট প্রদান করেন।
এ বিষয়ে উক্ত নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কামাল হোসেন জানান, পাকুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচন সুষ্ঠ এবং বিধি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়েছে।