খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত।
ভুক্ত ভোগীরা জানায়, আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে শারীরিক লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছেন দৌলতপুরে কর্মরত তিন সাংবাদিক। তারা হলেন দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বিবার্তার দৌলতপুর প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ বিন জোহানী তুহিন, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সময়ের কাগজের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার রনি আহমেদ, ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ বাংলা টেলিভিশনের দৌলতপুর প্রতিনিধি আছানুল হক।
১৭ আগষ্ট বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিক আছানুল হক বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
লাঞ্চিতের শিকার ওই তিন সাংবাদিক বলেন, আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে জাতীয় শোক দিবস ও ১৫ ই আগস্ট উপলক্ষে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে কোন রকম আনুষ্ঠানিকতা করেন নাই এবং ঘটনার দিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকার নিয়ম থাকলেও পতাকা শীর্ষে উঠানো ছিল।
এ ছাড়া ঐ ইউনিয়ন পরিষদে গেলে দেখা যায়, সেখানে টিসিবির মালামাল বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত সুবিধা বঞ্চিত কয়েকজন ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা সম্পর্কে জানতে গেলে ঘটনার সত্যতা পায় গণমাধ্যম কর্মীরা। তখনই বিষয়টিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয় তিন গণমাধ্যম কর্মী। এ সময় টিসিভির পণ্য নিতে আসা একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে দেখা যায়, একজনের নামের কার্ডে অন্যজন মালামাল উত্তোলন করছে। ওই সব ব্যক্তিদের গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করেন যেহেতু এই কার্ডটি আপনাদের নয়, এই কার্ডটি আপনারা কোথা থেকে পেয়েছেন? তখন তারা গণমাধ্যম কর্মীদের ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দেন যে, এই কার্ডগুলা তাদেরকে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হামিদুল মেম্বার দিয়েছেন।
মালামাল নিতে আসা ব্যক্তিদের বক্তব্যের পর পরই ৭-৮ জন ক্যাডার বাহিনী সঙ্গে নিয়ে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয় তিন নম্বর ও ওয়ার্ডের মেম্বার হামিদুল। পরবর্তীতে গণমাধ্যম কর্মীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় হামিদুল মেম্বার ও রিকুলের নেতৃত্বে তার ক্যাডার বাহিনী। এ সময় ওই তিন গণমাধ্যম কর্মীকে লাঞ্ছিত করে তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন হামিদুল মেম্বার ও তার ক্যাডার বাহিনী। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ও দৌলতপুর থানা পুলিশ গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জাবিদ হাসান বলেন, এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে এবং তারা থানায় এজাহার দিয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি