1. raselahamed29@gmail.com : admin :
  2. uddinjalal030@gmail.com : jalal030 :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

দৌলতপুরে মাদক ব্যবসা জেঁকে বসেছে ॥ বিভিন্ন মহলের অভিযোগ

Khandaker Jalal Uddin. Email: uddinjalal030@gmail.com
  • Update Time : রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২
  • ৩৬০ Time View

 

আহসানুল হক দৌলতপুর প্রতিনিধি :কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা এই উপজেলা ১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
উপজেলা আয়তন প্রায় ৪৬৮ বর্গ কিলোমিটার। অনুমানি ৪৭ কিলোমিটার ভারত সিমান্ত লাগোয়া এই উপজেলা। ভারত থেকে মাদক ও অবৈধ অস্ত্র আনার নিরাপদ রুট হিসেবে মাদক ব্যবসায়ীরা বেছে নিয়েছে দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা।
বর্তমানে দৌলতপুরের আনাচে-কানাচে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক, যেমন তেকালা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা ধর্মদহ, তেকালা গরুড়া গ্রামে তৈরি হয়েছে মাদকের অস্থায়ী কারখানা।
রাতে চোরাই পথে ভারত থেকে মাদক নিয়ে এসে, এই সব এলাকাতে রেখে দেয়, পরে বিভিন্ন রুট হয়ে, দৌলতপুর উপজেলার, খলিশাকুন্ডি এলাকাতে, দৌলতখালী, দাঁড়ের পাড়া, গবড়গাড়া, দৌলতপুর উপজেলার পাশে বেগুন বাড়ী, সাদিপুর, কল্যানপুর, তাজপুর, সোনাই কুন্ডি, আমদহ এলাকাতে পৌঁছে যায়।
অপর দিকে প্রাগপুর ইউনিয়নের, মহিকুন্ডি, জামালপুর। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ, ভাগযোত এলাকাতে মাদক রেখে সুযোগ বুঝে, মথুরাপুর, ফিলিনগর, বাহেরমাদি, মাজদিয়াড়, কোলদিয়াড়, গাছের দিয়াড়, টলটলি পাড়া, ভুরকা পাড়ায় পৌঁছে দেয়।
পরে এই সব মালামাল দুই এক দিন অপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। কেন এত খোলামেলা মাদক ব্যবসা এ বিষয়ে জন প্রতিনিধি থেকে সাধারন মানুষ বলেন,
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নেওয়াজ বলেন, আমাদের এই উপজেলার পশ্চিম পাশে ইন্ডিয়া হওয়াতে মাদকের উৎপাত আমাদের উপজেলায় বেশি বর্তমানে মাদক দৌলতপুরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে যাতে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও ফিলিপনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হায়দার আলী বলেন বর্তমানে আমার উপজেলায় বা আমাদের অঞ্চল দিয়ে এত মাদকের আবির্ভাব হয়েছে যে, আবির্ভাবের কারনে আমাদের সন্তানদের রাখা বড় দায় হয়ে পড়েছে। মাদক আমাদের প্রতি ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে । প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করার জন্য।
আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন বলেন, বর্তমানে মাদক আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে। ধর্মদহ এলাকায় মদ ফেন্সিডিল এখন ওপেনে পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি বলা চলে মাদকের যে অবস্থা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইলিয়াস হোসেন মাস্টার বলেন, ইদানিং আমি দেখছি যে ভাবে ব্লাাক হচ্ছে আগের মত। ফেন্সিডিল ব্লাক হচ্ছে কিছু বলার উপায় নাই, দিনে দুপুরে যে কোন লোক বাধাহীন ভাবে ফেন্সিডিল ব্লাক করছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মরিচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আমরা এ ধরনের মাদক ব্যবসা দেখিনি। মাদক ব্যবসায়ীরা বর্তমানে বাজার ঘাটে খোলামেলা ভাবে চলাফেরা করছে এবং বাজার ঘাটে মাদক আলু পটলের মত বিক্রি হচ্ছে। আমরা কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এমতাবস্থায় মাদক নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে চলে যাবে।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনালী খাতুন আলেয়া বলেন, একটি মাদকাসক্ত সন্তার একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই আমরা প্রচন্ড ভয় এর মুখে আছি আমাদের সন্তান কখন মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে কারণ দৌলতপুর উপজেলায় এখন মাদক ব্যবসার সবথেকে বেশি। মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ সময় তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সমাজ সেবক মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রথমে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বর্তমানে দৌলতপুরে মাদক নিয়ন্ত্রণের অনেকটা বাহিরে তাই সুশীল সমাজ ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাজ আহমেদ মামুন বলেন, বর্তমানে মাদেকর প্রাদুর্ভাব বেশি হওয়ার কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা র‌্যলি করেছি, অল্প সময়ের ভিতর বিভিন্ন ইউনিয়নে আমরা মাদক বিরোধী সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করার জন্য। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আ.কা.ম. সরোয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, মাদকের ভয়াবহতা ব্যপারে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নাই, আমাদের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আসলে আমরা খুবি বিপদ গ্রস্থ বর্তমানে দৌলতপুরে মাদকের সাথে কেউ কেউ আপোষ করেছে, কোন কোন রাজনীতিবিদ কোন কোন প্রশাসনের লোক। সার্বিকভাবে যে কত বড় ক্ষতি সমাজের হচ্ছে তা কেউ বুঝতে পারছে না। আগামীর জন্য এটা অপূরণীয় ক্ষতি। মাদকের ব্যপারে কোন আপোষ নাই কোন ছাড়া নাই । এ বিষয়ে দৌলতপুর ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছিন আরাফাত বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে দৌলতপুর ভেড়ামারা তথা কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ কাজ করছে। মাদকের বিষয়ে কোন ছাড় হবেনা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 biplobidiganta.com

Design & Developed By : Anamul Rasel