জহুরুল হক দৌলতপুর প্রতিনিধি :: সেই ৯০ সালের কথা। বাবা আফাজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান। তারপর ২০০৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আমৃত্যু নিঃস্বার্থভাবে দৌলতপুর উপজেলার মানুষের সেবা করে গিয়েছেন তিনি। এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ আর্থ সামাজিক উন্নয়নে রেখে গেছেন অসামান্য ভুমিকা। তাঁর অবদান কে উপজেলার মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে।
বাবার হাত ধরে, বাবার দেখানো পথে অগ্রসর হচ্ছেন, আফাজ উদ্দিন আহমেদ এর কনিষ্ঠ পুত্র অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। আইন পেশা ছেড়ে বাবার আদর্শকে লালন করে মানুষের সেবায় ব্রত হয়েছেন।
২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন । এরপর শুরু হয় করোনা মহামারি। নিজের সুরক্ষাকে তুচ্ছ করে তিনি উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসা, নগদ সহায়তা সহ বিভিন্নভাবে উপজেলাবাসীর পাশে দাড়ান। এক পর্যায়ে তিনি নিজেও করোনাক্রান্ত হন।
৬৬২ বর্গ কিলোমিটার ভ’-খন্ডের প্রায় ৬ লক্ষাধিক জনসংখ্যার আশা -ভরসা বা আস্থার প্রতীক হিসাবে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি তার উদ্যোগে দৌলতপুরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে বাল্য বিয়ে নিরোধ, মাদকের অপব্যবহার রোধ, সড়ক নিরাপত্তা নিশিচত সহ নানা বিষয়ে রোড‘শো অনুষ্ঠিত হয়। যা উপজেলাবাসীর মধ্যে ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে।
অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন মনে করেন, সব কিছুর মূলে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। তৃণমূল পর্যায়ে মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে সমাজের সকল অন্যায়, অবক্ষয়, অ-ব্যবস্থাপনা দুর হয়ে যাবে। আর প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীর ভিত্তি। এ ভিত্তি মজবুত না করতে পারলে ঐ শিক্ষার্থী মাঝ পথে ঝরে পড়বে। নিজের অভীষ্ট লক্ষ্যে কখনও পৌছাতে পারবেনা বলে তিনি মনে করেন।
এ জন্য তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদের মাসিক সভায় নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। এবং আকস্মিক বিদ্যালয় সমুহ পরিদর্শন করে শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। দুরবর্তী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল, প্রতিব›িদ্ধ শিক্ষার্থীদের হুইল চেয়ার, শিক্ষার্থীদের টিফিন বাটি, মিড্ ডে মিল, স্কুল ড্রেস এমনকি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ বিতরণ করে আসছেন। তাছাড়া লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা নিশ্চিত করার জন্য ফুটবল, ভলিবল সহ ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন।
যার ফলে, শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন কে আলোর ‘ফেরিওয়ালা“ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
সাবেক প্রধান শিক্ষক ফিরোজ খান নুন জানান, জনাব এজাজ আহমেদ মামুন সাহেব উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে যে ভুমিকা রেখে আসছেন, তাতে এ উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন ঘটছে।
জানতে চাইলে এজাজ আহমেদ মামুন জানান, শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড‘ তা শুধু মুখের বুলি না হয়ে আমি কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি উপজেলার মানুষ খুব দ্রুত তার সুফল পাবেন।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি