দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের নির্বাচন (আগামী কাল ১৭ অক্টোবর সোমবার)। নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন প্রশাসন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে দৌলতপুরে শেষ মুহুর্তেও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারকে নিজের পক্ষে নেওয়ার জন্য কেউ অর্থ দিয়ে ম্যানেজের চেষ্টা করছেন, কেউ আবার নিজেকে সৎ, যোগ্য ও দলীয় আদর্শের ধারক দাবী করে ভোট প্রার্থনা করছেন আবার কেউ বিগত দিনের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে পুনরায় তার পক্ষে ভোট নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দৌলতপুরে অর্থাৎ ১নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোটের মাঠে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছেন ৩জন। এরা হলেন, দৌলতপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের (তালা প্রতীক), কুয়েত ভিত্তিক দাতা সংস্থা আল সালেহ্ লাইফ লাইনের কো-অর্ডিনেটর মো. হুমায়ুন কবীর (ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান চৌধুরী লোটন (ঘুড়ি প্রতীক) ও আব্দুল কাদের মহুরী (টিউবয়েল প্রতীক)। তবে নির্বাচনের মাঠে আব্দুল কাদের মহুরীর প্রচার ও পদচারনা লক্ষ্য করা যায়নি। বাঁকী ৩জন প্রার্থী প্রচার প্রচারনা ও গণসংযোগ চালিয়েছেন দিনরাত।
তবে যোগ্যতার বিবেচনায় ও ভোটের মাঠে সবচেয়ে সক্রিয় অবস্থানে থেকে দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন দৌলতপুর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে দৌলতপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের। উপজেলা সদরে তার অবস্থান হওয়ায় এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতৃত্ব দেওয়ার সুবাদে দৌলতপুরের অতি পরিচতি মুখ হিসেবে তার অবস্থানটা শক্ত অবস্থায় রয়েছে বলে সর্বসাধারণ ও ভোটারদের অভিব্যক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে।
অপরদিকে পালসার, ডিসকভারী ও মোটা অংকের টাকা দিয়ে দৌলতপুরের শতাধিক ভোট কেনা হবে এমন প্রচারও রয়েছে কুয়েত ভিত্তিক দাতা সংস্থা আল সালেহ্ লাইফ লাইনের কো-অর্ডিনেটর মো. হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। তবে তিনি নিজ বাড়ীতে গণমাধ্যম কর্মী ডেকে এ ধরণের অভিযোগ অস্বীকার করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ধরনের সংবাদ প্রচার প্রকাশনারও প্রতিবাদ করেছেন।
অপরদিকে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান চৌধুরী লোটন বিগত দিনে জেলা পরিষদের সদস্য থেকে দৌলতপুরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে ও নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন।
এখন দেখারপালা রাজনৈতিক যোগ্যতা, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডেরযোগ্যতা না অর্থনৈতিক যোগ্যতার বিচারে দৌলতপুরের ১৮৫জন ভোটার যারা নিজেরাও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তারা কোন প্রার্থীকে বেছে নিবেন আগামী ৫ বছরের জন্য জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে।
এছাড়াও দৌলতপুরের আরও ৩জন নারী সদস্য পদে (১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন, সাবেক ইউপি সদস্য সুচিত্রা সুমন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মায়াবি রোমান্স মল্লিক ও শিক্ষিকা সুরভী আক্তার।
দৌলতপুরের ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বর এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। এসকল ভোটার অর্থের বিনিময়ে বেচা কেনা হলে অর্থের কাছে পরাজয় মানার সম্ভাবনা রয়েছে যোগ্য প্রার্থীদের। এমন অভিমত সচেতন ও সুধীমহলের।
দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মানিক দিয়াড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগামী কাল ১৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দু’টি বুথে অর্থাৎ পুরুষ ও মহিলা বুথে ইভিএমএ এ ভোট নেওয়া হবে। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর নির্বাচন কর্মকর্তা মো. গোলাম আজম।