ভেড়ামারা অফিস :: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী। গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় এই ঘটনাটি ঘটে। ওই নারীর লাশ হাসপাতালে আনার পর সেটি রেখে তাঁর স্বামী, শশুর ও শাশুড়ি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় রাতেই ওই নারীর শ্বশুর ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। নিহত ওই নারীর নাম সাথী আক্তার (১৮)। তিনি দৌলতপুর উপজেলার হলুদবাড়িয়া গ্রামের শাহাদাত হোসেনের কন্যা। সাথী আক্তারের স্বামী মোঃ আকাশ (২৮) ভেড়ামারা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের খাঁপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম বাবু ড্রাইভার (৫৮) এর ছেলে। গত ৬ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাথীকে বাবার বাড়িতে তেমন যেতে দিতেন না। বিভিন্ন সময় স্বামী, শশুর ও শাশুড়িসহ যৌতুকের জন্য সাথীকে চাপ দিতেন। সাথীর বাবা শাহাদত জানান, স্বর্ণালংকার যৌতুক দাবি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এসব নিয়ে তাঁদের সংসারে ঝগড়া হতো। গত মঙ্গলবার রাতের দিকে সাথী ও আকাশ এর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। বুধবার দুপুরে আকাশ মুঠোফোনে সাথীর স্বজনদের বলেন, আপনার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, আপনারা দ্রুত এখানে চলে আসেন। তাকে ভেড়ামারা ১৬ দাগ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তাঁকে দেখার জন্য হাসপাতালে যেতে বলে আকাশ। দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন সাথীর বাবা শাহাদাত। এ সময় স্বামী আকাশ সেখানে ছিল না। সাথীর নানা আসাদুল বলেন, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানা ভাবে আমার নাতনীকে নির্যাতন করতো। টাকা না দেওয়ায় আমার নাতনীকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল আমিন বলেন, বুধবার ১টার দিকে মৃত অবস্থায় থাকা সাথীর লাশ হাসপাতালে রেখে স্বজনরা পালিয়ে যায়। ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এস.আই. প্রতাপ কুমার রায় বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা বলা যাবে না। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে।