খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৪ নং মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর চর রহিমপুর গ্রামে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা ভাংচুর করে এবং নগদ অর্থ সহ প্রায ৫ লাখ টাকার মালা মাল লুট করে নিয়ে গেছে। এই ঘটনায বাড়ির স্বামী-স্ত্রী ২ জন আহত হয়ে কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহতের ছেলে নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর সকাল ১১.৩০ সময় উপজেলার মরিচা ইউপির বৈরাগীরচর রহিম পুর গ্রামে হুরমত প্রামানিক (৬৫) প্রতিবেশি ইজাজুল হক (৫০) এর নিকট পাওনা টাকা চাইতে গেলে, ইজাজুল টাকা দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে ২ জনের মধ্যে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ইজাজুল সরদার হুকুম দিলে, তার ছেলে গিয়াস হোসেন (৩৪), বিল্পব (৩২), শিমুল (৩০), সিহাব (২৭), সিদ্দিক (৪৫) সহ, ১০/১২ জন লোহার রোড, হাসুয়া, লাঠি-সুঠা, নিয়ে হুরমত প্রামানিকের উপর হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। এ সময তার স্ত্রী বাঁধা দিতে আসলে তাঁকে বেধড়ক মার পিট করে আহত করে এবং হুরমতের কোমরে থাকা নগদ টাকা সহ ঘরে সুকেস ভেঙে স্বর্নের চেন, দুল সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে পরে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের কে কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি প্রেরন করে। তারা আশংখা জনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেলার হাসপাতালে চিকিৎস্বাধীন রয়েছে। পরে আহতদের ছেলে আল আমিন নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান অভিযোগ টি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসাবে রুজু করে। যার নং ৪৩, ১৮/১১/২২ ইং তারিখ। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আসামিরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে।