খন্দকার জালাল উদ্দীন :: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর লক্ষীখোলা মোল¬া পাড়া গ্রামে জমি-জমার বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বাদী জালেমা খাতুনের পরিবারকে হত্যার হুমকি, ই্ট-পাটকেল নিক্ষেপ,জানালা দিয়ে ইট নিক্ষেপ করে টেলিভিষন,কমপিউটারসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর,গাছ কর্তন জোরপূর্ব নিজ দখলে নেয়ার জন্যে জমি ঘেরাও করেছে প্রতিপক্ষ। অসহায় পরিবারটি আদালতের রায় তাদের পক্ষে থাকলেও গায়ের জোরে প্রভাব খাটিয়ে মাস ব্যাপি মারপিট গালি গালাজ সহ নানা ভাবে অত্যাচার করে চলেছে প্রতিপক্ষ প্রভাব শালীরা। দৌলতপুর থানায় ৩টি জিডি করেও প্রসাশনের কাছে কোন প্রতিকার পাইনি বলে জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি।
বাদী জালেমা খাতুন জানায়,গত বৃহস্পতিবার তার বাড়ির অঙ্গিনায় এসে বাহির থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেট কওে প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। এর আগে ১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টার সময় আসামীরা জোর পূর্বক জমি দখল করে। বাহার আালি, আতাহার আলী, কল্পনা রানী, মোঃ রাকিবুল ইসলাম, মেরী খাতুন,চাহার আলি, ছানোয়ার সহ ১০/১২জন দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার দিয়ে জমিতে বেড়া দেয়। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। বাদী জালেমা থানায় মামলা গ্রহণ না করলে, গত অক্টোবর মাসে বিভিন্ন তারিখে তিনটি জিডি করলেও পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক।
জালিমা খাতুন জানান, দৌলতপুর থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং এর আগে পরপর তিনটি জিডি করলেও আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশ গ্রেপ্তার করে না। আসামীদের জমি-জমার কোন কাগজপত্র না থাকায়, কোর্ট জেলেমার পক্ষে রায় দেওয়ায় আসামীরা রেগেফুঁসে গিয়ে তার ওপর মাস ব্যাপি নানা রকম অমানবিক অত্যাচার শুরু করেছে। পরিবারটি বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে, প্রসাশন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে খুন-জখমের মত অপরাধ সংঘটিত হতে পাওে বলে এলাকাবাসী আসংখা করছে। এদিকে বাদী জালেমা নতুন ভাবে অভিযোগ করলে, এ ব্যাপারে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন ওসি মজিবুর রহমান, তিনি জানান দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ক্যাপশন : ছবিতে ইট নিক্ষেপ করছে বাহার।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি