খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ডিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও ৩ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দূর্নীতির অভিযোগ।
অভিযোগ উঠেছে ডিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তারিক সালমান তাপস ও প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। সূত্র জানায়, এই ২ ব্যক্তি পরষ্পরের যোগসাজসে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে নিয়োগ সম্পন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । অনিয়মের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন নিয়োগ প্রার্থীর অভিভাবক গন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা জান মোহাম্মদ, আশিকুর রহমান এর পিতা রোয়েন খান, রিপন আলী ।
তারা বলেন,কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার গত ৩০জুলাই’২২ সংখ্যায় অফিস সহায়ক (পদ সংখ্যা-১),নিরাপত্তা কর্মী(পদ সংখ্যা-১) ও পরিচ্ছন্ন কর্মী(পদ সংখ্যা-১) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
শর্তাবলী মেনে ৩ পদে ১১ জন আবেদন করেন। আগামী শনিবার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার দিন ধার্য হলেও এখন পযর্ন্ত কোন প্রার্থী কে প্রবেশ পত্র দেয়া হয়নি। প্রবেশপত্র চাইতে গেলে নানা রকম হুমকি দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক। আশিকুর রহমান নামে অফিস সহায়ক পদের প্রার্থী বলেন,বিদ্যালয়ের সভাপতির আপন ভাই আহম্মেদ সাজ্জাদ অনিক কে নিয়োগ দেয়ার জন্য কাউকে প্রবেশপত্র দিচ্ছেন না।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর ও গত কাল মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জান মোহাম্মদ, এলাকাবাসীর দাবি গোপনে নয় সঠিক নিয়মে বিদ্যালয়ে নিয়োগ হোক।
এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত নিয়োগ প্রত্যাশী আরজেদ আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান(দাঁড়েরপাড়া ),সৈয়দ আলীর ছেলে ফাহিম হাসান(দৌলতখালী),রনি ইসলাম, পিতা মোঃ হাফিজুল মোল্লা, শশীধরপুর জীবন রহমান, পিতা মোঃ আমজাদ হোসেন, দাড়েরপাড়া মোঃ জাকির হোসেন, পিতা মোঃ ওয়াহেদ আলী, দাড়েরপাড়া, মোঃ বিপ্লব হোসেন, পিতা মোঃ রফিকুল, দৌলতখালি, মোঃ রবিউল ইসলাম, পিতা মোঃ হাফিজুল, শশি ধরপুর,মোঃজাকির হোসেন, পিতা ওয়াহেদ আলী, দাঁড়ের পাড়া,মোঃ এজাজুল হক পিতা মোঃ সুরুজ, গবরগাড়াসহ কেউ প্রবেশ পত্র পায়নি।
প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি নিয়ম মেনে সকল কিছু করার চেষ্টা করেছি। তবে সভাপতি কার সাথে কি করছে তা আমার জানা নাই। নিয়ম মেনে করেছেন তবে পরিক্ষার দিন শনিবার ধার্য হলেও প্রবেশ পত্র বুধবার প্রর্যন্ত কোন নিয়োগ প্রত্যাশী ব্যক্তি পাই নাই, তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হচ্ছে বলে আপনি কিভাবে মনে করেন।এমন প্রশ্ন উত্তরে সভাপতি বলেন নিয়ম অনুসারে পরীক্ষার ৭২ ঘন্টা আগে প্রবেশপত্র দেওয়া যায়, আমি সেই নিয়ম ফলো করেছি। এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তারিক সালমান তাপস এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেন নাই।