খন্দকার জালাল উদ্দীন :কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিলগাতুয়ায় ককটেল বিষ্ফোরণ, এলাকার আইন শৃংখলার চরম অবনতি হওয়ায় আতংকিত জনগণ।
এলাকার বিলগাতুয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হাসিবুল হাসান শান্ত’র অবস্থা আশংকাজনক,সোমবার ২ জানুয়ারী রাত ৮ টায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি এখন দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাথা ও পিঠে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। সে উপজেলার বিলগাতুয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
এলাকাবাসী ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম (৪৭), পিতা-ইয়াকুব মন্ডল, মোঃ সাইদুজ্জামান ফড়িং (৫০), পিতা-রমজান আলী বিশ্বাস, আকিদুল মন্ডল (৩৫) পিতা-তোয়াজ মন্ডল, মোঃ মহিদুল মন্ডল (৪০), পিতা-ফরজুল্লাহ মন্ডল, শাহ আজিজ (৫০), পিতা-আলেপ বিশ্বাস, মোঃ মজনু (৪০), পিতা-আলম মন্ডল, মোঃ মনজু মন্ডল (৪৫), পিতা-নুর হোসেন মন্ডল, মোঃ রুবেল মন্ডল (৩৩), পিতা-ফকির মন্ডল, মোঃ বিদু মন্ডল (৩৬), পিতা-জাহান মন্ডল, খাইরুল মন্ডল (৩৫), পিতা-ইদু মন্ডল, মোঃ রাজিব মন্ডল (৩০), পিতা-বাবলু মন্ডল, মোঃ রুবেল মন্ডল (৩৫), পিতা-খাননুন মন্ডল, মোঃ মধু মন্ডল (৩৫), পিতা-মোফার মন্ডল, মোঃ সুজন (৩৫), পিতা-আনারুল মন্ডল,মোঃ সোহেল রানা (৪২), মোঃ মাসুদ রানা রাসেল (৩৭), উভয়পিতা-মৃত গোলাম কিবরিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর আলী (৪২), পিতা-সবকুল এই হামলার সাথে জড়িত।
জানাগেছে, আহত শান্ত তার ছেলে শিমুল কে বিলগাতুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য গেলে প্রধান শিক্ষক শাফিউল ইসলামের অভিযুক্ত সাইদুজ্জামান ফড়িং সহ অন্যান্যদের সাথে একটি কাগজে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর নেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর দিতে অনিহা প্রকাশ করলে প্রধান শিক্ষককে অপমান জনক কথাবার্তা বলেন ফড়িং। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় শান্তর উপর ক্ষিপ্ত হয় অভিযুক্তরা। সোমবার(২ জানুয়ারী) রাত ৮ টায় শান্ত তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এই ঘটনার জের ধরে আকিদুল মোবাইল ফোনে বাড়ীর বাইরে পাকা রাস্তার উপর আসার জন্য বলে। তখন সে বাড়ীর বাইরে পাকা রাস্তার উপর আসামাত্রই আসা আকিদুল সহ অন্যান্যরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। এরপর শান্তকে জনৈক মনিয়াত মন্ডল এর বাঁশ বাগানের ভিতর নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। আসামী আকিদুল আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে বলে যে, ”শালা তোকে আজকে খুন করে দেবো”। সাইদুজ্জামান ফড়িং বলে যে, “শালাকে খুন জখম কর”।
এই হুকুম পাইয়া মহিদুল লোহার রড দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাথার ডান পাশে আঘাত করিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। আসামী মনজু লোহার হাতুড়ী দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে কপালের উপর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আসামী রাজিব ধারালো রামদা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথার পিছনে কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। খাইরুল ধারালো রামদা দিয়ে পিঠের বাম পাশে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। লাঠি ও লোহার রড দিয়ে দুই হাতে পায়ে পিঠে বুকে সহ বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক ভাবে মারপিট করে ফোলা ও কালশিরা জখম করে। আহতের ডাক চিৎকারে আবু সাইদ (৩০), পিতা-মোঃ মশিউর মালিথা, জাহাঙ্গীর (৪২), পিতা-মৃত নাজিম উদ্দিন মালিথা, শ্যামল সরকার (৩৬), পিতা-ভ্যাগর সরকার এগিয়ে আসলে মজনু তার হাতে থাকা হাত বোমা নিক্ষেপ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। দফায় দফায় পুলিশ টহলে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছেন আহত শান্তর পরিবার। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।