খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার আইন শৃংখলার চরম অবনতি প্রতিদিন গরু চুরির কারণে হতাশ চাষী, মাদক ব্যবসা চরম আকার ধারণ করেছে।
দৌলতপুর সদর ইউনিয়নে গত দুই মাসে ২০ টির অধিক গরু চুরি হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে দৌলতখালী গ্রামের মৃত নুরুল সরদারের ছেলে পেয়ার সরদারের ২ লক্ষাধিক টাকা দামের একটি গাভি গরু চুরি হয়েছে ও হেলুর ছেলে মহাসিনের রাড়িতে চুরি হয়।
উল্লেখ্য গত ২ মাসে সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী সরদার পাড়ার রাহাতুলের গরু , মজিরউদ্দিনের গরু , মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে সিদ্দিকের গরু, হাজি পাড়ার আনারুলের গরু, দাঁড়ের পাড়ার জালাল উদ্দীনের গরু, আমাদুল হকের গরু, চৌধুরী পাড়ার আসলাম উদ্দিনের গরু , গড়বাড়িয়া গ্রামের ইনদাদুল হক ও তার ভাই এর গরু,হাকিমপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হকের গরু চুরি হওয়ায় তারা প্রশাসনের দূর্বলতা ও আইন শৃংখলার চরম অবনতি বলে সাধারণ চাষী হতাশার মধ্যে রয়েছে।এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গরু সহ দোকান,বাড়ী চুরির খবর নিত্য দিনের ঘটনা। এলাকায় মাদক ব্যবসা ও মাদকাশক্ত ব্যাক্তির স্যংখা বৃদ্ধি পাওয়ায় আইন শৃংখলার চরম অবনতি দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খায়রুল আলমের এর নির্দেশনায় আমার নেতৃত্বে সোমবার দিনগত ভোর রাতে এস আই আবু জাফর সঙ্গীয় অফিসার নিয়ে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান পরিচালনা করা কালীন সময়ে ভোর রাতে হোসেনাবাদ এলাকায় পৌঁছালে, সন্দেহ জনক গতিতে একটি ট্রাক আসতে দেখলে ট্রাকের গতি রোধ করার চেষ্টা করে পুলিশ । ট্রাক না থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ড্রাইভার। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ট্রাকটি থামিয়ে চোরাই গরু সহ ২ জনকে আটক করে, চোরকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে গরু চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকলে সে যত বড় লোক হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে তাদের নামে চুরি আইনে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।