খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের বড় ছেলে শহিদুল ইসলামের ক্রয় কৃত সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে, নাজির হোসেনের নামে। শহিদুল ইসলাম বলেন, ধর্মদহ নিমতলা বাজারের নাজির হোসেন মৃত মাদার শেখ এর ছেলে। মাদার শেখ ও নাজির হোসেনের নিকট থেকে সর্বমোট ২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে ২৭৪২ দাগে, যার খতিয়ান নাম্বার ১২২১।
নাজির হোসেন এর নিকট থেকে তিন দলিলে ৯ শতক জমি ক্রয় করে জমির নাম খারিজ করেছেন এবং নিজ দখলে,যেখানে মার্কেট ও গোডাউন আছে বলে জানান শহিদুল ইসলাম। ওই খতিয়ানে নাজির হোসেন সর্বমোট ১০ শতক জমির মালিক দলিলমুলে।
৯ শতক বিক্রি করার পরে সে এক শতক জমির মালিক বলেও জানান তিনি। কিন্তু নাজির হোসেন দাবি করে এখানে আমার আরো অনেক জমি আছে, জোর দখলের পাঁয়তারা করে আসছিলেন তিনি অনেক দিন আগ থেকে, এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়পক্ষকে ডেকে মীমাংসায় রায় দেন, ১২২১/২ হোল্ডিং এ এক শতক জমি আছে, বিক্রির পর নাজির উদ্দিন বর্তমানে ঔ এক শতক জমির মালিক। ইউনিয়ন পরিষদের রায়কে অবমাননা করে নাজির উদ্দীন পরবর্তীতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কুষ্টিয়ায় ১৪৪ ধারা কার্যবিধির আবেদন করেন।
কিন্তু বিজ্ঞ আদালত নালিশি সম্পত্তিতে উভয়েরই দখল রয়েছে এবং এই অবস্থায় উভয়পক্ষকেই নিজ নিজ দখলের অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিবেদনে। কিন্তু নজির হোসেন তাতেও থেমে নেই বিজ্ঞ আদালতকে অমান্য করে গত ২১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের দুপুর পরে আমার ক্রয় কৃত জমির মধ্যে বাঁশবাগান থেকে বাঁশ কাটা ও জবরদখল করে আমার জমির মধ্যে অবস্থিত গোডাউন জবরদস্তি করে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখে,আমি সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণীক পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নাজির হোসেনকে নিষেধ করে, পরে পুলিশ ঘটনাস্থান ত্যাগ করে।
পরেও তা অব্যাহত রাখে বলে জানান ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম, এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলাম দৌলতপুর থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়জনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।