নিজস্ব প্রতিনিধি :কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা প্রেস ক্লাবে দূর্নীতি,হয়রানি, ও চেক জালিয়াতীর কারণে নাসির এবং তার বন্ধু বাদশার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন।
১০ ফেব্র“য়ারী সকাল ১১টায় আল্লারদর্গা প্রেস ক্লাবে এসে লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী জানায়,আমি রুবেল হোসেন, পিতা মৃত রফিকুল ইসলাম, মাতা মাবিরা খাতুন, সাং হলুদবাড়িয়া, পোস্ট আল্লার দর্গা, উপজেলা দৌলতপুর, জেলা কুষ্টিয়া। আমি আল্লার দর্গা বাজারের একজন সাধারণ ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত শুনামের সাথে পরিবেশকের ব্যবসা করে আসছি। এমতাবস্থায় নাসির উদ্দিন পিতা-মৃত নঈম উদ্দিন কামার, সম্পর্কে আমার দুলাভাই, সে প্রায় ৩০ বছর আগে শিল্পপতি বায়েজিদ বিশ্বাসের বনানী ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতো। সে কুলিয়ারচর, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ। সেখান থেকে চাকরি করা অবস্থায় অর্থ আত্মসাৎ এর দায়ে তার চাকরি চলে যায়।
এরপর সে কুলিয়ারচর বাজারে জনতা ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে এবং দীর্ঘদিন সেখানে মুদিও ব্যবসা করতে থাকে। গত ৮/২/২০২২ তারিখ সে দেউলিয়া হয়ে হলুদবাড়িয়া,আল্লার দর্গা নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে চলার পর, সে আমাকে বলে আমি ব্যবসায় দেউলিয়া হয়ে অনেক টাকা ঋণ হয়ে পালিয়ে এসেছি, আমার দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খাওয়ার পরিবেশ নাই এবং অনেক হাতে পায়ে ধরে, মিনতি করে বলে আমাকে তোমার দোকানে একটা কাজ দাও। তখন আমি তার মুখের দিকে তাকিয়ে আত্মীয় সুবাদে আমার দোকানে কর্মচারী হিসেবে তাকে চাকরি দিই।
এক দুই মাস পরে আমার কাছে বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে, তখন আমি আমার দোকানে ক্যাশে বসার সুযোগ করে দেই। এই সুযোগে বাদশা নামের একজন সহ তার কয়েকজন বন্ধু মিলে আমার দোকান থেকে গোপনে নগদ টাকা-পয়সা চুরি করতে থাকে। এমনকি আমার চেক বইটিও চুরি করে। পরে আমি বুঝতে পেরে তাকে আমার চেক বইয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে সে অস্বীকার করে এবং আমার টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়।
তখন আমি আল্লার দর্গা বাজার কমিটিতে গত ১৯/৮/২০২২ তারিখ অভিযোগ দায়ের করি, অভিযোগের ভিত্তিতে বাজার কমিটি তাকে হাজির করে এবং বিচারে ১লাখ ৩৫ হাজার টাকা আমাকে আদায় করে দেয়। এরপর থেকে নাসির এবং তার বন্ধু বাদশা সহ বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে আমার দোকানের চুরির টাকা দিয়ে এমপি গলিতে আকাশ টের্ডাস নামে মুদিও দোকান করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কিস্তির উপর টাকা ও বিভিন্ন পণ্য মানুষের ব্লাঙ্ক চেক এবং স্টাম্প নিয়ে বাঁকিতে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি শুরু করে।
এমতাবস্থায় নাসির এবং তার বন্ধু বাদশা বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে আমাকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। বলে রুবেলের চেক বই আমাদের কাছে, আমরা রুবেল কে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করব।
প্রতারক বাদশা এলাকার বিভিন্ন মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে অর্থ আদায় করে আসছে, বাদশা আমদহ গ্রামের আবুল হোসেন মালিথার ছেলে। সে একজন প্রতারক, বিভিন্ন সময়ে কাজীর পরিচয় দিয়ে বাল্যবিবাহ করে মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
নাসির কুলিয়ারচর থাকা অবস্থায় মানুষের কাছ থেকে ভূয়া চেক দিয়ে প্রায় দেড় কোটি অধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে আসে বলে অভিযোগে আছে।
অনেক পরে যখন আমি জানতে পারি নাসির আমার চেক চুরি করেছে, তখন আমি ২৯-০৯-২০২২ তারিখ দৌলতপুর থানায় গিয়ে,চেক বই হারানো জিডি করি, যার জিডি নম্বর ১৫৪৬। গত ০৬.০২.২০২৩ ইংরেজি তারিখ আমার স্বাক্ষর নকল করে আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা অ্যামাউন্ট বসিয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক আল্লার দর্গা শাখায় নিয়ে যায়। ম্যানেজারকে হুমকি ধামকি দিয়ে ডিজঅর্ণার সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে, এ সময় সঙ্গে বন্ধু প্রতারক বাদশাও ছিল।
ম্যানেজার বাধ্য হয়ে আমাকে সংবাদ দেয় আমি সংবাদ পেয়ে ব্যাংকে যাওয়ার আগেই ব্যাংক থেকে তারা পালিয়ে যায়। তারা সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্র বহু মানুষকে এভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকায় একজন চিহ্নিত প্রতারক হিসেবে মানুষ তাদের জানে, আমি এই প্রতারণার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করি। আপনাদের বহুল প্রচলিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করে, আমি প্রতারক এই দু’জন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
উল্লেখ্য এ সময় এলাকার আমদহ গ্রামের শুকুর আলির ছেলে জুয়েল (৩০), সাদীপুর গ্রামের মজের আলির ছেলে ইসরাইল, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব কুলিয়ারচর এলাকার প্রবাসী আনোয়ার হোসেন মোবাইলে ভিডিও কলে অভিযোগ করেন প্রতারক চক্র তার কাছে থেকে ভূয়া চেক দিয়ে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে, একই এলাকার রশিদ মিয়া অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক লাভের আশায় অবসর ভাতার ২০ লাখ টাকা সব দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছ।
এ সময় প্রেস ক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।