খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সিমান্তের ত্রাস ককটেল বক্করের মৃত্যুর পর পুনরায় ককটেলের শব্দে প্রকম্পিত হলো বিলগাতুয়া। সুষ্ঠু তদন্ত করে মাদকসম্রাট মঞ্জুর অস্ত্র ভান্ডার থেকে অবশিষ্ট বিষ্ফোরক উদ্ধারের দাবী সংশ্লিষ্ট সকলের।
স্থানীয়রা জানান,মৃত আবু বক্কর, শীর্ষ মাদকসম্রাট মঞ্জু ও রাজিব এই ৩ জনের জখমের ধরন একই। মৃত আবু বক্করের সহযোগী মঞ্জু ও রাজিব হারালো ডান হাতের কব্জি। এক অনুসন্ধানে জানা গেছে,কুষ্টিয়া সিমান্তে মাদক চোরাচালানের প্রধান রুট হলো দৌলতপুর উপজেলার বিলগাতুয়া পয়েন্ট। সিমান্তের অন্যতম শীর্ষ মাদক চোরাচালানকারী মঞ্জু বাহিনীর প্রধান বিলগাতুয়া গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে মঞ্জু। আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে মৃত বক্করের কাছ থেকে ককটেল বানানো শেখে। এরপর গড়ে তোলে ককটেলের কারখানা। প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল, মাদক চোরাচালানের সময় পুলিশ,বিজিবির সদস্যদের ওপর হামলার কাজে এসব ককটেল ব্যবহার করে থাকে তারা।
জানা গেছে, শুক্রবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ব্যাগে করে ককটেল পরিবহন করছিল মঞ্জু (৩৫), একই এলাকার রাজিব(৩০) তার সাথে ছিল। বিলগাতুয়া গ্রামের শান্তিপ্রিয় জনসাধারনের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানো ও দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যাগ থেকে ডান হাত দিয়ে ককটেল বের করেন। এসময় বিষ্ফোরণ ঘটলে উভয়ের ডান হাতের কব্জি উড়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উভয়কেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার পুলিশের চৌকস টিম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ প্রসঙ্গে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের ১৭ আগষ্ট সকালবেলায় নিজ বসত ঘরে ককটেল তেরী করার সময় বিষ্ফোরণে আহত হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আবু বক্কর। ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনায় জড়িত আবু বক্করসহ তার ১৭ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। যার নং দৌলতপুর জি আর ৩৯৫/২১।