1. raselahamed29@gmail.com : admin :
  2. uddinjalal030@gmail.com : jalal030 :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

ভেজাল ঘি ও গুড় প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ভোক্তা অধিদপ্তর মাঠে নেমেছে

Khandaker Jalal Uddin. Email: uddinjalal030@gmail.com
  • Update Time : রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩
  • ২৬৫ Time View

দৌলতপুরে সোয়াবিন দিয়ে ঘি ॥ চিটাগুড় আলু রং ও চিনি দিয়ে তৈরী হচ্ছে ভেজাল গুড়

ভেজাল ঘি ও গুড় প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ভোক্তা অধিদপ্তর মাঠে নেমেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা মাষ্টারপড়ায় কাউছার নাপিতের বাড়িতে ভারতের চিটাগুড়,আলু সিদ্ধ পানির সাথে ক্যামিক্যোল রং ও এর সাথে চিনি দিয়ে দ্বিগুন উৎসাহে ভেজাল গুড় তৈরী করে বিক্রি করছে উকিল মিসতিরি।
এ ছাড়া বিস্বস্থ সূত্রে জানাগেছে,দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউপি’র হলুদবাড়ীয়া ও মিরপুর, হোগলবাড়িয়া ইউপি’র চামনা ও টলটলিপাড়া, মরিচা ইউপি’র মাঝদিয়াড়, বালির দিয়াড় ও কোলদিয়াড় এলাকায় বিভিন্ন দধী ব্যবসায়ীরা ঘি’এর সাথে সোয়াবিন তেল মিশিয়ে ঘি প্রস্তুত করে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করছে। এর আগে ভোক্তা অধিদপ্তর বিষয়টি টের পেয়ে কয়েক দফা জরিমানা করেছে। পরে ব্যবসায়ীদের সাথে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে মাসিক চুক্তি করে তাদের ভেজাল তৈরীতে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে আল্লার এলাকার উকিল মিসতিরি কাউছার নাপিতের বাড়ি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই ভেজাল গুড় তৈরী করে খুব ভোরে লছিমনে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় টন টন পরিবেশন করছে। গুড় ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ও চিনি ১১০ টাকা মূল্য হওয়ায় এবং সস্তা আলু সিদ্ধ করে মিশিয়ে তারা ভেজাল করে গুড় তৈরী লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় উঠেপড়ে লেগেছে।
এলাকার মানুষ এ কাজের প্রতিবাদ করলে, তার ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা শাসন করে, কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুললে বা কারখানার ক্ষতি হলে তাদের দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়।
সামনে রমজান মাস হওয়ায় প্রতিটি গুড় ব্যবসায়ী গুড় সংগ্রহের জন্য তার কাছে হুমড়ীখেয়ে পড়ছে, এমন গুড় খেলে কিডনি, লিভার ক্ষতি গ্রস্থ সহ ভাল মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করে বিভিন্ন প্রত্রিকায় প্রকাশ হলে কুষ্টিয়া ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকজন কারখানায় গত ২৭ ফেব্র“য়ারী হানাদেয়, তারা মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে নাম মাত্র লোক দেখানো ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে, পরে ভুঁড়ি ভোজ করে তাদের সাথে মাসিক চুক্তি করে চলে যায়। এখন দ্বিগুন উৎসাহে চলছে গুড় তৈরীর ভেজাল কারখানা।
বিষয়টি দেখে এলাকার সচেতন মহল হতবাক। তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। তাই ভোক্তা অধিদপ্তর ভেজাল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে মাছে নেমেছে, সচেতন মহল বলছে সর্ষ্যরে মধ্যে ভূত থাকলে তাকে রুখবে কে ?

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 biplobidiganta.com

Design & Developed By : Anamul Rasel