খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে আদাবাড়ীয়া গ্রামের মোট জন সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। ১০ হাজার মানুষের ছেলে মেয়ে ও মধুগড়ীয়া গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষের ছেলে মেয়ের শিক্ষা গ্রহনের জন্য একটি মাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আদাবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, এই বিদ্যালয়ে প্রায় ১ যুগ ধরে নির্বাচিত কোন কমিটি না থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে অবকাঠামোর কোন উন্নয়ন নাই।
এক যুগের পরে সকল গ্রামবাসী মিলে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। নির্বাচনে সকল প্রস্তুতি শেষ ভোট গ্রহন ২৭/৪/২০২৩ ইংরেজি তারিখে। হঠাৎ ২৬/৪/২০২৩ ইংরেজি তারিখ মধ্য রাতে শুনলাম কিছু কুচক্রী মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন সাময়িক ভাবে বন্ধো করা হয়েছে।
কারন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে নির্বাচন হলে । উল্লেখ করা হয়েছে নির্বাচন হলে প্রান হানি হতে পারে। এটা মিথ্যা ঘটনা যারা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিভিন্নভাবে চুষে খাচ্ছে তারা এই অভিযোগটা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করেছে। নির্বাচন না হলে বরং এলাকা অশান্ত হবে কারণ এলাকার সকল মানুষের প্রাণের দাবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া। তাই আমাদের দাবি অতি দ্রুত তদন্ত করে এই আদাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্বাচন দেওয়া হোক। তা না হলে এলাকায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এ বিষয়ে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল একটি মোঃ উজ্জল হোসেনের প্যানেল, অপরুটি মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের প্যানেল।
এ বিষয়ে আব্দুল মান্নান ও উজ্জল হোসেন বলেন, আদাবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় দীর্ঘদিন যাবৎ কোন নির্বাচিত কমিটি না থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর কোন উন্নয়ন নাই। এ বিদ্যালয় আমাদের গ্রামের আমাদের সন্তানরা লেখাপড়া করেন। তাই নির্বাচিত কমিটি গড়ার লক্ষ্যে আমরা দুজনে একসঙ্গে কাজ করছি। এ বিষয়ে কোন মারামারি বা প্রাণ হানির ঘটার মতো কোনো ঘটনা আদাবারিয়ায় ঘটেনি। যে অভিযোগটা এনে নির্বাচনকে স্থগিত করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা চাই বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে অতি দ্রুত নির্বাচন দেয়া হোক।
এ বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের পক্ষ থেকে গত ২৭ তারিখে আদাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল বিধি অনুসারে সেই নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন আমাকে। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়।
তিন থেকে ৪ দিন আগে এক ব্যক্তি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসার বরাবর নির্বাচন বন্ধের জন্য লিখিত আবেদন দেন। আবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী স্যার দৌলতপুর থানা পুলিশ করে তদন্তে করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। নির্বাচনের আগের দিন ২৬ তারিখ সন্ধ্যার পরে আমি একটা চিঠি পাই সেখানে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন বন্ধের জন্য আবেদন কারী অভিভাবক সদস্য প্রার্থী সামিরুল ইসলাম বলেন, আমি একটি চাপে পড়ে অভিযোগটা করেছিলাম। অভিযোগ না করলে আমার সমস্যা ছিল। তবে নির্বাচন হলে আমার কোন সমস্যা নাই। আমি তো প্যানেল করতে পারি নাই। অন্য গ্রুপ তারা প্যানেল করেছে। আমি শুধু সিঙ্গেল আছি আমার ক্রমিক নম্বর নয়। আমি একা তো নির্বাচন বন্ধ করতে পারিনা।
তাই নির্বাচন হলে আমার কোন সমস্যা নাই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওবায়দুল্লাহ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। তদন্ত করে নির্বাচন দেওয়া হবে।