দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের তিন জনের নামে চাঁদাবাজী মামলা করেছে ভুক্তভোগী সাবেক সেনা সদস্যক্লিনিক মালিক জাহিদ হাসান।
জাহিদ হাসানের এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোঃ শাহিন আলম (৩৫), পিতা-সোহরাব হোসেন সেন্টু, গ্রামঃ ভাগজোত কাষ্টমমোড়, মোঃ ওয়াজেদ আলী (৩৮), পিতা- নজির গাইন গ্রামঃ ফিলিপনগর, উভয়
থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে এজাহার দায়ের করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন ভাগজোত মধ্য বাজারে আমার ক্লিনিক আছে। আমার স্ত্রী শাহানাজ পারভীনের সহিত পারিবারিক বনাবনী না হওয়ার কারনে তাহাকে তালাক প্রদান করি। এই
ঘটনাকে ইস্যু করে উক্ত আসামীদ্বয় গত ০৯/০৫/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় আমার ক্লিনিকে আসিয়া তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়া আমার ক্লিনিকে দেহব্যবসা চলে এবং অনৈতিক কাজে ক্লিনিক ব্যবহার হচ্ছে। এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ দেয়।
এরপর উক্ত আসামীদ্বয় আমার নিকট এক লক্ষ টাকা দাবী করে, টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কাল্পনিক কাহিনী সৃষ্টি করে পেপার প্রত্রিকায় প্রচার করে এবং ফেসবুকের
মাধ্যমে পোষ্ট করে আমার মানহানীকর ঘটনা ঘটাইবে মর্মে প্রকাশ করে। তথাপি আমি টাকা দিতে অস্বীকার যাওয়ায় উক্ত আসামীদ্বয় আমার মজা দেখাইবে মর্মে ভয়ভীতি দেয়।
১০/০৫/২০২৩ তাং দুপুর অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে আমি আমার
ক্লিনিকে বসে মদ পান সহ নারী ব্যবসা ও আজেবাজে কথাবার্তা লিখে আমার মানহানীকর ঘটনা ঘটায়।
উল্লেখ্য শাহিন, ওয়াজেদ ও বাশার এর নামে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। তারা সাংবাদিকতার নামে মানুষের অসহায়ত্ব পুঁজি করে বড় বড় অংকের টাকা দাবির অভিযোগ আছে। তাই সাংবাদিকতার মান-সম্মান রক্ষার্থে এলাকাবাসী সহ উপজেলা সকল মানুষের দাবী এদের আইনের আওতায় আনা হোক।
উল্লেখ্য, শাহিন স্থানীয় বিএনপি ক্যাডার, নাশকতা মামলার আসামী ও সরকার বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত। তাই পুলিশী ঝামেলা থেকে বাঁচতে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহীন বলেন, আমি কোনো চাঁদা দাবি করি নাই। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, আমি আগে বিএনপি করতাম এখন আর করি না।
অভিযুক্ত ওয়াজেদ বলেন, আমি খোঁজ পাই জাহিদ তার স্ত্রীকে মারধোর করে মানসিক ভারসাম্যহীন করে ফেলেছে। তাই তার ক্লিনিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। কোনো চাঁদা দাবি করি নাই।
অভিযুক্ত বাশারের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, জাহিদ হাসান বাদী হয়ে একটি এজাহার দিলে তা মামলা হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি