খন্দকার জালাল উদ্দিন: কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার হিসাব রক্ষক অফিসার মোঃ জাহিদুল আলম এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি এবং প্রতিবন্ধীদের নানাভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
শারীরিক প্রতিবন্ধি উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের নতুন আমদহ গ্রামের মরহুম আফেল উদ্দীন মাষ্টারের শারীরিক প্রতিবন্ধি ছেলে আবুল হাশেম (৭৬) জানায়, গত ০৯.০২.১৯১২ তারিখে তার পিতার মৃত্যু হয়, তারপর থেকে ভাতা গ্রহণ করে আসছে, অনিয়ম ও দূর্নতি করে বর্তমানে তার অবসর ভাতা দুই মাস যাবত আটকে রেখে নানাভাবে নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে উপজেলার হিসাব রক্ষক অফিসার মোঃ জাহিদুল আলম।
আবুল হাশেম একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী তার দুই হাতই অচল কাজ করতে পাওে না, তিনি জানান দুই মাস যাবত হিসাব রক্ষক অফিসার জাহিদুল ইসলাম তার পেনশন ভাতা আটকে রেখেছেন। এ বিষয়ে সারজমিন তদন্ত করতে গেলে জাহিদুল আলম তার আইন বই দেখান, অনু:৩.০৩ এ প্রতিবন্ধী সন্তান অনুচ্ছেদে আজীবন একজন প্রতিবন্ধী সন্তান তার পিতার পরিবর্তে পেনশন ভোগ করবেন, একথায় লেখা আছে। এর জন্য প্রয়োজন প্রতিবন্ধী চিহ্নিত করার জন্য সমাজসেবা অফিসার অথবা প্রতিবন্ধী কল্যাণ কমিটির সুপারিশ।
আবুল হাশেম তার প্রতিবন্ধী কল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে গত ২৫.১০.২০০৪ বাংলাদেশ সরকার উপ-পরিচালকের কার্যালয় নিবন্ধন কুষ/৯৮২ তার প্রতিবন্ধী কার্ড রয়েছে। প্রদান করেছেন সদস্য সচিব, জেলা প্রতিবন্ধী কল্যাণ কমিটি কুষ্টিয়া। এছাড়া গত ১৯/৩/২০১৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃক মেডিকেল অফিসার মোছা: নিগার সুলতানা নিবন্ধন নং ১৩৫৮৭/১৯ এই স্মারক নম্বরে একটি প্রতিবন্ধী প্রমাণপত্র দিয়েছেন।
হিসাব রক্ষক জাহিদুল ইসলাম তার দাবি জেলা পর্যায়ে থেকে সিভিল সার্জন এর কাছ থেকে সে প্রতিবন্ধী এই প্রমাণপত্র নিয়ে আসতে হবে, তা না হলে উনি ভাতা প্রদান করবেন না। প্রতিবন্ধী আবুল হাসেম কুষ্টিয়া চেনেনা, সিভিল সার্জেন কাকে বলে জানেনা, দুই মাস অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছে।
এদিকে শিক্ষা অফিসার দৌলতপুর জানান, তার দুই মাসের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আমরা দিয়ে দিয়েছি, শুধু হিসাব রক্ষক অফিসার তাকে প্রদান করবেন। বিভিন্ন দিক আলোচনা করে দেখা গেছে জাহিদুল ইসলাম এই প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
বিভিন্ন জনের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা গেছে, বিভিন্ন পেনশনের ভাতা দৌলতপুর হিসাব রক্ষক অফিসার বিভিন্ন ছোট-খাট বিষয় উল্লেখ করে ইচ্ছাকৃত ভাবে আটকে রাখা হয়, বিভিন্ন কৌশলে অনৈতিক টাকার দাবি করা হয় এবং তার দাবি পূরণ হলেই পেনশন পাস করেন। জানাগেছে এই অফিসারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ থাকা সত্বেও তার খুঁটির জোরে দীর্ঘদিন স্বস্থলে রয়েছেন। সচেতন মহল বিষয়টি তদন্ত করে এই দূর্নীতিবাজ অফিসার কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি