খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর চিলমারীতে কৃষকের গরু ছিনতায় হয়েছে, খুন চুরি ছিনতায় মারামারি মাদক ব্যবসা নিত্য দিনের ঘটনা।
উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চিলমারী গ্রামের ফেলু শেখের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক ৪ টি গরু ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, পরে ১ টি গরু উদ্ধার হলেও এখনো ৩ টি গরুর হদিস মেলেনি। শনিবার (২৪ জুন) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ফেলু শেখ বলেন, আমি একজন সাধারণ কৃষক। গরু এবং ছাগল পালন করে আমার সারা বছরের জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। প্রতি কুরবানি ঈদে ঢাকাতে নিয়ে গিয়ে গরু বিক্রয় করি। আগামী রবিবার (২৫ জুন) গরু গুলো ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তার দাবী শুক্রবার দিনগত রাতে অর্থাৎ শনিবার ভোর অনুমানিক ২ টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল তার বাড়িতে প্রবেশ করে। তার পরিবারের লোকজন সহ ফেলু শেখকে জিম্মি করে মারপিট করে ৪ টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ১টি গরু মাঠের মাধ্যে ছেড়ে দিয়ে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জোরপূর্বক ফেলু শেখকে বেঁধে রেখে তার ৪ টি গরু নিয়ে গেছে শুনেই আমি পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। ১ টি গরু পাট খেত থেকে পাওয়া গিয়েছে তবে ৩ টি গরু নিয়ে গিয়েছে। পাশেই পুলিশ থাকে আরো একটু আগে জানতে পাইলে হয়তো গরু গুলো সব উদ্ধার হতো।
এ বিষয়ে চিলমারীর ইউনিয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তাপস বলেন, জোর পূর্বক গরু নিয়ে যাওয়ার বিষয় শোনার সাথে সাথে ঘটনা স্থানে গিয়ে ছিলাম। একটি গরু নিয়ে যেতে পারে নাই তারা। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ কে বিষয়টি অবগত করেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন। না স্যার কে জানানো হয় নাই।
এ বিষয়ে চিলমারী ইউনিয়ন বিট অফিসার মেহেদী হাচান বলেন, আমি শনিবার সকাল ৮ টার দিকে শুনেছি চিলমারীতে জোর পূর্বক গরু নিয়ে গেছে। যাদের গরু হারিয়েছে তাদের থানায় আসতে বলেছি।
জোরপূর্বক গরু ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যপারে দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যপারে আমি কিছু জানি না, আপনার মুখেই প্রথম শুনলাম। ফেলু শেখ মামলা করতে চাইলে মামলা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঘটনার ব্যপারে কিছু জানায়নি বলে তিনি জানান।