খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে (বি,এ,ডি,সি‘র ) বসানো সেচ প্রকল্পের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে।
২৩ জুন শুক্রবার রাতে প্রাগপুর এলাকায় ৬টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি ও ২২ জুন রাতে আদাবাড়ীয়া এলাকা থেকে ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি ঘটনা ঘটেছে এ নিয়ে গত ৭ দিনে ৯টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সেচ প্রকল্প। ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় বিদ্যুৎ সংকটে জমিতে পানি দিতে পারছেন না কৃষক। একের পর এক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় কৃষকের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ তারা।
বি,এ,ডি,সি সূত্র জানায়, গভীর নলকুপ দিয়ে পানি উত্তোলন করে চাষাবাদের জন্য দৌলতপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে সেচ প্রকল্প চালু করে বি,এ,ডি,সি । অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় এনে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্পটি চালু করা হয়। প্রকল্প এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে পানি উত্তোলনে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন করে বি,এ,ডি,সি । কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যাচ্ছে।
যেসব এলাকায় ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি তোলা যাচ্ছে না। এতে করে প্রকল্পের আওতায় সেচ সংকটে ফসলি জমি ফেটে চৌচির। জমিতে পানি দিতে না পেরে স্থানীয় কৃষক দুশ্চিন্তায়। কিন্তু বি,এ,ডি,সি অথবা অন্য কোনো সরকারি দপ্তর ট্রান্সফরমার চুরি রোধ ও পুনরায় স্থাপনে তেমন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত ৭দিনে অন্তত ৯টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের গরুড়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের তিনটি, প্রাগপুর ইউনিয়নের ময়রামপুর এলাকার ফজলুল হকের ছেলে সান্টু রহমানের ৩টি ও একই এলাকার ইব্রাহীম ফকিরের ছেলে বজলু মাষ্টারের ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। চুরি হওয়ার পর এসব ট্রান্সফরমার উদ্ধার অথবা চুরি ঠেকাতে তেমন তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে না।
প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন স্কিমের আওতায় স্থাপিত ট্রান্সফরমার চুরির পর ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বিষয়টি জানাতে এসেছিলেন। আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়ে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি। গত এক সপ্তাহে আমার ইউনিয়ন ও পার্শবর্তী ইউনিয়নসহ অন্তত ৯টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।
ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় কৃষক জমিতে পানি তুলতে পারছেন না। এতে করে সেচ প্রকল্পের আওতাধীন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ভুক্তভুগি সান্টু রহমান জানান, অন্যান্য পাম্প মালিকদের সাথে পরামর্শ করে থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।