খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুরে মুক্তিযোদ্ধা সহ দশটি পরিবারের চলার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে এক প্রভাবশালী, আবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখা।
দৌলতপুর সম্প্রতি ছোটোখাটো বিষয় কে কেন্দ্র করে দৌলতপুরের আইনশৃংখলার চরম অবনতি খবর সবার মুথে মুথে। মাঠে ছাগল-গরু ক্ষেত খাওয়াকে কে কেন্দ্র করে ঘটে গেছে জোড়া খুনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।সচেতন মহলের দাবি একটুখানি বাড়তি সচেতনতায় এড়ানো যেতো এসব অপরাধ মূলক কর্মকান্ড।
এমন এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে মথুরাপুর, পায়ে চলা রাস্তাকে কেন্দ্র করে এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বিশ্বাস পাড়া এলাকায়। এখানে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা সহ ১০টি পরিবারের চলাচলের পথ আটকে দিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলেও কোন কাজ হয়নি। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের লোকজন সুবিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে, ,সরেজমিনে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর নিকট থেকে জানা যায়, স্থানীয় মিরাজুলের নিকট থেকে ২০০৭ সালে ১০শতক জমি ক্রয় করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জমির উদ্দিন মন্ডল। তখন থেকেই ক্রয়কৃত জায়গার উপর দিয়ে চলাচল করছে মুক্তি যোদ্ধা সহ ১০টি পরিবার।
ওবায়দুল হক, তৌহিদুল ইসলাম , মফিদুল হক, শাহিন, দুলাল সহ ১০টি পরিবারের দাবী বহু আগের থেকেই ঐ রাস্তাটাই তারা চলাচলের জন্য ব্যাবহার করে আসছে, চলাচলের ক্ষেত্রে কেউই কোনদিন বাঁধা প্রদান করেননি। হটাৎ করেই গত ২৫ জুন তারিখে মিরাজুলের ভাই হারেজুলের জামাই মিলন উক্ত রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে করে সমস্যায় পড়েছেন উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ১০টি পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে বীরমুক্তি যোদ্ধা মরহুম জমির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওবায়দুল বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে বসবাস করছি,রাস্তার সংকট থাকায় ২০০৭ সালে শুধু মাত্র চলাচলের রাস্তার জন্য ১০শতক জায়গা মিরাজুলের নিকট থেকে আমরা ক্রয় করি,তখন থেকেই আমরা সবাই এই রাস্তা ব্যবহার করছি। শুধু তাই নয়, রাস্তার পাশে ক্রয়কৃত জায়গার উপরে একটি ঘর নির্মান করে ভোগদখল করছি, কিন্তু হটাৎ করেই তারা আমার জায়গা ঘিরে আমাদের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমি স্থানীয় প্রশাসন সহ সারা বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, একটি মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সহ ১০টি পরিবারের সমস্যা দুর করতে এগিয়ে আসুন।
এদিকে উক্ত চলাচলের রাস্তাটি বন্ধকারী মিলন বলেন, আমি আমার শ্বশুর হারেজুলের জায়গা ঘিরেছি,তারা যদি দলিলে জমি পাই তবে আমি অবশ্যই ছেড়ে দিবো।আরও এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের জমি আছে অন্য দাগে। এখানে তাদের কোন জমি নাই।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রাকিব হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।