খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলাম এর ছেলে মাজহারুল ইসলাম। তার এস এস সি, এইচ এস সি ও বিএ পাশ অরিজিনাল সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের হয়রানির স্বীকার হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী, আল্লার দর্গা বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ২০১৬ সালের ১২ ই নভেম্বর সকাল অনুমানিক ৮ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে আল্লার দর্গা বাজারে যাওয়ার সময় পথের মাঝে আমার এস এস সি, এইচ এস সি ও বিএ পাশ অরিজিনাল সার্টিফিকেট হারিয়ে যায়।
পরে আমি দৌলতপুর থানায় এ বিষয়ে ১৪ নভেম্বর/২০১৬ জি ডি ভুক্ত করি, জি ডি নাম্বার ৫১৩। এবং স্থানীয় দৈনিক হিসনা বানী পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি। পরে লোক মাধ্যমে জানতে পারি কোলদিয়াড় গ্রামের হান্নান মালিথার ছেলে আব্দুল আওয়াল আমার এস এস সি, এইচ এস সি ও বিএ পাশ অরিজিনাল সার্টিফিকেট পেয়েছে, এবং আমার সার্টিফিকেট অনুযায়ী সে তার পরিচয় গোপন করে আমার নামে তার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে নিয়েছে। সে আমার পরিচয় বহন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করছে এবং তার জন্য মামলা হচ্ছে আর সেই মামলায় হয়রানির স্বীকার হচ্ছি আমি। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচার চাই আমি।
মরিচা ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আসাদুল ইসলাম ও মরিচা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পুলিশিং কমিটির সভাপতি শায়েন উদ্দিন বলেন, হান্নান মালিথার ছেলে আব্দুল আওয়াল তার নিজের পরিচয় গোপন করে, নিজে নুরুল ইসলাম এর ছেলে মাজহারুল ইসলাম সেজে, দেশের বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। তার কারনে কোলদিয়াড় গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আসল মাজহারুল ইসলাম, সে কোন অপরাধ না করেও হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের মামলা হয়েছে জন্য তার বাড়িতে পুলিশ আসছে। এই ঘটনার সর্বোচ্চ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানাচ্ছি আমরা।
মরিচা ইউনিয়নের দফাদার মহাসিন আলী ও গ্রাম পুলিশ মানিক উদ্দিন বলেন, আমার হাতে যে জাতীয় পরিচয় পত্র টি দেখছেন এটাতে যে ছবি, সেই ব্যক্তির না আব্দুল আওয়াল পিতা হান্নান মালিথার। কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র টিতে নাম ব্যবহার করা হয়েছে মাজহারুল ইসলাম পিতা নুরুল ইসলাম। আমরা তাকে ভালো করে চিনি, সে হান্নানের ছেলে আওয়াল। শুনেছি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সাথে জড়িত থাকে। এ বিষয়ে মামলা হলে তার শিকার হন অরজিনাল মাজহারুল ইসলাম। এই ঘটনা তদন্ত করে আমরা সঠিক বিচার দাবি করছি।
আওয়ালের পিতা আব্দুল হান্নান বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র টির ছবি সেটা আমার ছেলে। তবে জাতীয় পরিচয় পত্র তার মায়ের নাম ঠিক আছে। বাকী আমার ও তার নিজের নাম ঠিক নাই, নিজের নামের জায়গাতে মাজহারুল ইসলাম ও আমার নামের জায়গাতে নুরুল ইসলাম লেখা আছে। গ্রামের অরিজিনাল নুরুল ইসলাম এর ছেলে মাজহারুল ইসলাম ফেঁসে যাচ্ছে,আব্দুল হান্নান মালিথা বলেন আমি এর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।
মাজহারুল ইসলাম পরিচয় দানকারী আব্দুল আওয়ালের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা যায় নাই।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি, সব ওয়ারেন্ট গুলোর নাম পরিচয় জানা নাই।
আমি বিষয়টি দেখছি।