সেলিম রেজা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ “বেঁচে থাকো হাজার বছর গনমানুষের হৃদয়ে, “তুমি রবে নীরবে সবার হৃদয়ে’
সবার প্রিয় নেতা আফাজ উদ্দিন আহমেদ দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি,দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বটবৃক্ষ বর্ষিয়ান প্রবীন নেতা,মরহুম আফাজ উদ্দিন আহমেদ এর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ৭৫,কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।পরে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।তাঁর অহিংস রাজনীতি ও সাদামাটা জীবনই তাঁকে গনমানুষের হৃদয়ে স্হান করে দিয়েছে।
আফাজ উদ্দীন আহমেদ বিশ্বাস,শুধু একটা নাম নয়,তিনি দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে পায়ে হেঁটে ধিরে ধিরে সুসংগঠিত করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,একটি প্রতিবাদী কন্ঠ।তিনি ছিলেন আওয়ামী রাজনীতির এক কিংবদন্তী,
একখন্ড সোনালী ইতিহাস।তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোয় আলোকিত দেশ ও দলের এক অনন্য এবং অনুপম আদর্শ।মজলুম,অসহায়, মেহনতি মানুষের দিশারী।
ধৈর্যশীল,ভদ্র,নম্র,বিনয়ী,এবং অহংকারমুক্ত সাদামনের মানুষ ছিলেন।আদর্শ রাজনীতির এক পথিকৃত ব্যক্তিত্ব। ৭৫-এ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নীল নকশায় সুপরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পর ২১ বছরে দূঃসহ নির্যাতন সহ্য করেও মনোবল হারায়নি,লাল দীঘির মাঠে সামরিক জান্তার বুলেটে একের পর এক জীবন্ত দেহ নিথর হলেও যে আদর্শিক কর্মীরা কখনো পিছু হটেনি,তিনি তাঁদেরই একজন।
স্বৈরাচারীদের বহু প্রলোভন,জুলুম,ভয়ভীতি উপেক্ষা করে শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন।কখনও নীতিভ্রষ্ট হননি,আদর্শচ্যুত হননি কিংবা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।তিনি ছিলেন দৌলতপুর তথা কুষ্টিয়ার গনমানুষের নেতা। আজ তিনি নেই।তিনি আজকের দিনে দৌলতপুর উপজেলার সমস্ত জনগণকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
আজ তার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আমরা সবাই তার আত্মার শান্তি কামনা করি।আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন। আছে তাঁর স্মৃতি ও আদর্শ।তাঁর স্বপ্নের দৌলতপুর আছে এবং থাকবে।
এলাকা নিয়ে যেসব স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি,আগামীতে তার যোগ্য উত্তরসূরি তার কনিষ্ঠ পুত্র এ্যাডঃ এজাজ আহমেদ মামুন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হিসেবে ২য় স্থান অধিকার করেছেন ,তার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেন। সেই তাওফিক যেন আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন তাকে দান করেন।