খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী গ্রামের মৃত বছির আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ১৮ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে বিল্লাল ও তার স্ত্রীর মধ্যে, বিল্লালের মাকে টাকা দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মাঝ রাতে শুনতে পাই বিল্লালের স্ত্রী শ্যামলীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে, বিল্লাল ও তার মা।
এ বিষয়ে বিল্লাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকালে ভুট্টা বিক্রয় করি ৫ হাজার ৯ শত টাকার, টাকা এনে আমার মায়ের হাতে ২৫ শত টাকা ও আমার স্ত্রীর অবশিষ্ট টাকা দেই। আমার মাকে টাকা দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে আমরা রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ রাত অনুমানিক ১২ টার দিকে ঘুম ভেংগে যায়। উঠে দেখি আমার স্ত্রী শ্যামলি ঘরের শয়ন কক্ষের বাঁশের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। আমি ও আমার মা ফাঁস থেকে নামিয়ে ভ্যান যোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বের হলে এলাকাবাসী দেখে বলে আমার স্ত্রী মারা গেছে।
শ্যামলি আক্তারের চাচা রবিউল ইসলাম এর স্ত্রী রিপা বলেন, আমি লাশ দেখলাম তার শরিরে কোন আঘাতের চিহ্ন নাই, তবে কপাল একটু ফোলা আছে। শ্যামলি আক্তারের চাচা শিহাব আলী বলেন, আমার বড় ভায়ের মেয়ে মারা গেছে আমরা সঠিক তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ শ্যামলি আক্তার নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত ১০ জুলাই অপর এক গৃহ বধূ আত্বহত্যা করে, ময়না তদন্ত ছাড়ায় দাফন করা হয়।