প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ১:৪৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২৫, ২০২৩, ৮:২৩ পি.এম
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা তোলপাড় কুষ্টিয়ার রাজনীতি
দৌলতপুর প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বড়গাংদিয়া ঈদগাঁ মোড়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের আঞ্চলিক কার্যালয়ে তালা মেরে দিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা।
এই ঘটনায় তোলপাড় কুষ্টিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গন। এসময় অফিসে রাখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে শোক ফেস্টুন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০ টার সময়।
স্থানীয়রা জানান হঠাৎ করে দলবল নিয়ে আঞ্চলিক কার্যালয়ে তালা মেরে দেন হাবলু মোল্লা। এসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা হতে পারে ভেবে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস বলেন, আঞ্চলিক কার্যালয়ে তালা মারার ব্যপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলীয় ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিবেন সে অনুযায়ী আমি কাজ করবো।
বিষয়টি নিয়ে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সরওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সাংগঠনিক ভাবে কর্মসূচি দিব। এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি যদি ভাংচুর করে থাকে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আঞ্চলিক কার্যালয়ের তালা ভাঙার ব্যপারে কেউ এখনো আমাকে বলেনি।
তবে হাবলু মোল্লার এটা পুরাতন অভ্যাস কারন বড়গাংদিয়া ঈদগাঁ মোড়ের পাশেই তার ইট ভাটা যা বিএনপির সময় টর্চারসেল হিসাবে ব্যবহৃত হত। তিনি আরও বলেন স্থানীয় নেতাদের সাথে কথা বলে সাংগঠনিক ভাবে কর্মসূচি দেওয়া হবে। অভিযোগের তীর যার দিকে সেই বিএনপি নেতা হাবলু মোল্লা বলেন, তাশফিন আব্দুল্লাহ নামে একজন অফিস (স্বপ্ন ছায়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন) নিয়ে ছিল, দুই মাস আগে সে ছেড়ে দিয়েছে। পরে দেখি আওয়ামী লীগের কার্যালয় লেখা সাইনবোর্ড তাই স্থানীয় লোকদের সাক্ষি রেখে ও ভিডিও করে নতুন তালা মারা হয়েছে। আমি অফিসের ভেতরে ঢুকিই নাই। আমি ছাত্র রাজনীতি করেছি তাই পাগল না যে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করবো।
তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে এসময় তিনি দাবী করেন। তিনি আরও বলেন, আমি দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে কথা বলেছি উনিও বলেছেন ঘটনা মিথ্যা, আপনার মতো সম্মানিত ব্যক্তির সাথে এমন করা ঠিক হয়নি। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, আপনারা ঘটনা স্থলে খোঁজ নেন নাই! আমি এবং সার্কেল স্যার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম রুমটা মনে হয় উনার (হাবলু মোল্লার)। আমরা শুনছিলাম যে ওখানে কি যেনো ভাংচুর হয়েছে তবে এটা সঠিক না। বিএনপি নেতা হাবলু মোল্লার সাথে তার কথা হয়নি বলে তিনি জানান।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি