খন্দকার জালাল উদ্দীন :কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির ৯ নেতা কর্মীকে আটক করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। সোমবার ৩১ জুলাই ভোর ৫ টার দিকে রিফাইতপুর ইউনিয়নের সরকার বাড়ী পার্ক থেকে তাদের আটক করেছে পুলিশ।
আটকৃত বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সংগ্রামপুর গ্রামের বিচ্ছেদ আলীর ছেলে রাশেদুল হক শামীম (৪৫), উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ সরকার মঙ্গলের ভাতিজা আবিদ হাসান মন্টি সরকার (৪০),
রিফাইতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মক্কেল আলী মেম্বার, গরুড়াা গ্রামের মৃত ইনসান আলীর ছেলে হামজালাল (৫৫), আড়িয়াা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ইন্তাজ হোসেন (৪০), কুষ্টিয়া জেলা কৃষক দলের সদস্য ফিলিপ নগর মোড় এলাকার মৃত নুরুল আমিন এর ছেলে বদরুজ্জামান রাজন (৪০),
ফিলিপনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এস এম রাজন (৪০), ইসলামপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে জামিরুল (৪০), মধুগাড়ী গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৫৮) কে আটক করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রাকিবুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন সোমবার ৩১ শে জুলাই ভোর ৫ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের সরকারবাড়ী পার্কে বিএনপি নেতা কর্মীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে।
এ সময় ঘটনাস্থলে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকেই পালিয়ে যায়। তাদের মধ্য থেকে ৯ জন বিএনপি নেতা কর্মীদের আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি হাত বোমা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে থানায় নাশকতা পরিকল্পনার একটি মামলার রজু করে আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা অভিযোগ করে বলেন তার দলীয় নেতাকর্মীদের নিজ নিজ বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। এটি একটি ষড়যন্ত্র ও হয়রানি মূলক মামলা। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি