খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর সড়কের বেহাল অবস্থা প্রতিদিনই আট- দশটা করে মাল বোঝায় গাড়ি উল্টে পড়ছে রাস্তাটিতে। আল্লর দর্গা কারিগর পাড়া ও নাসির নগর এলাকাটি চরম রাস্তার দুর্ভোগে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বর্তমান সরকারের এত উন্নয়ন এত সাফল্য থাকা সত্ত্বেও মানুষ এ সরকারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে।
এই এলাকার এক কিলোমিটার রাস্তা, যা আল্লর দর্গা বাজার নামে পরিচিত, এখানে রাস্তার জমি প্রস্থ ৬৬ ফুট থেকে ৭০ ফুট পর্যন্ত , রাস্তাটি এত প্রশস্ত হওয়ার সত্ত্বেও এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ স্থাপনা করে রাস্তাটিকে একেবারে সংকীর্ণ করে ফেলেছে। যার কারণে মূল পিচ ঢালা রাস্তাটি সরু চিকন হয়ে পড়েছে এবং একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপরে পানি জমে, যার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় পানি জমে এবং গাড়ির চাকাই বড় বড় গর্ত হয়ে অল্প দিনে নষ্ট হয়ে যায়।
রাস্তার একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সেটি বর্তমানে অচল অবস্থায় রয়েছে। ২০১৩ সালে ড্রেন নির্মাণ করার পর আরও দুইবার এর সংস্কার কাজ হয়েছে, যার ব্যায় হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা, তবুও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সঠিকভাবে হয় নাই। এই ড্রেনের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করা হয় নাই। পানি ড্রেন হয়ে নদীতে না নেমে রাস্তার উপরে জমা হয়ে থাকে।
এছাড়া প্রতিবছর রাস্তা মেরামত করা হয় কিন্তু তা টিকসই হয়না, কারণ কমা ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কারণে রাস্তা অতি দ্রুত ভেঙে পড়ে। একশ্রেণীর অসাধু ঠিকাদার রাস্তা মেরামতের নামে সরকারি টাকা লুটপাট করে, বিষয়টি দেখার কেউ নাই। সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা কোনদিনই এই বিষয়গুলো স্বচক্ষে না দেখে অদৃশ্য কারণে তাদের নির্মান ব্যায়ের বিল স্বাক্ষর করে দেয়।
এলাকাবাসী সুষ্ঠু সুন্দরভাবে কাজ দেখে নেয়া ও পক্ষান্তরে ভালো উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা মেরামতের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। রাস্তা নির্মাণের আগে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেরও বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। যত ভালো কাজ হোক না কেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ব্যতীত রাস্তা ভালো থাকবে না, রাস্তার দুই পাশে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে, যা প্রভাবশালীদের দখলে, উভয় পাশে প্রায় ২২ ফুট ২২ ফুট একুনে ৪৪ ফুট জায়গা রাস্তা দুই ধারে পড়ে থাকলেও সেই রাস্তাগুলি অবৈধ স্থাপনায় রাস্তাটিকে ভালো রাখা যায় না।
রাস্তার পানি রাস্তার দুই ধারে গড়ানোর ব্যবস্থা থাকলেও রাস্তা সুন্দর থাকবে, এ কারণে সর্বপ্রথম রাস্তার জমির সিমানা নির্ধারণ করে,অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী। বিষয়টি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মহোদয় সহ নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপদ বিভাগকে অবগত করছে এলাকাবাসী।