দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের হলুদবাড়িয়া মিরপুর ঘাট পাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম নজুর মেয়ে দীপা (১৯) বিচার না পেয়ে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
নজরুল ইসলাম ও এলাকাবাসী জানায় ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটা দিকে একই এলাকার আরব আলীর ছেলে সন্ত্রাসী মাসুম (৩০) গৃহবধূর ঘরের জানালা দিয়ে রুমে প্রবেশ করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে, চিৎকারে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে সন্ত্রাসী মাসুমকে আটকে ফেলে এবং ভোর পর্যন্ত দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।
পরে মাসুমের আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ির লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাসুমকে জোরপূর্বক তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং বাড়ি থেকে অন্যত্র সরিয়ে রাখে। এদিকে গৃহবধূ সুবিচার না পেয়ে ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা দুইটার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে।
জানা গেছে গৃহবধূ ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা, ইতিপূর্বে এই মাসুম গৃহবধুর স্বামীর বাড়ি দৌলতপুর গিয়েও নানা রকম পরকীয়া ও শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করে।
এ নিয়ে কয়েক দফা সালিশ বিচার হয়েছে। এবার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পুত্রবধূর এমন বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে নানা রকম কুরুচিপূর্ণ কথা বলায় গৃহবধূ এর অপমান সইতে না পেরে ও বিচার না পেয়ে, নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে বলে জানাই এলাকাবাসী। পুলিশ জানায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।