1. raselahamed29@gmail.com : admin :
  2. uddinjalal030@gmail.com : jalal030 :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

দৌলতপুর থানা পুলিশের অভিযানে ৩১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার ॥ ওসি রফিকুল যোগদানের পর মাদকসহ বদলে গেছে দৃশ্যপট

Khandaker Jalal Uddin. Email: uddinjalal030@gmail.com
  • Update Time : সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৮৮ Time View

 

খন্দকার জালাল উদ্দীন :কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর বরইতলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ৩২ টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪:৩০ সময় উপ-পরিদর্শক আবু জাফর সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে ফজল মন্ডল(৭০) এর বাড়িতে অভিযান করলে বাড়ির আঙ্গিনায় চাষাবাদ অবস্থায় ৩২ টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। যার ওজন ৩১০ কেজি।

অভিযানের খবর টের পেয়ে ফজল মন্ডল ও তার স্ত্রী আম্বিয়া পালিয়ে যায়। আম্বিয়ার নামে দৌলতপুর থানায় মাদক মামলা চলমান রয়েছে।
এ দিকে এলাকাবাসী বলেন, ওসি রফিকুল ইসলাম দৌলতপুর থানায় যোগদানের পরে, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বিভিন্ন জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে মামলা দিয়েছেন। মাদক ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কাছে রফিকুল ইসলাম এক আতঙ্ক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ।

উল্লেখ্য, গত ২৩ শে জুন দৌলতপুর থানায় ওসি রফিকুল ইসলাম যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই দৌলতপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে, তার নেতৃত্বে শুরু হয় বিভিন্ন মূখি অভিযান।

জানাগেছে ২৩ শে জুন থেকে অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৬৭ টি মাদক মামলা হয়েছে থানায়, আসামী গ্রেফতার হয়েছে ৮০ জন, উদ্ধার হয়েছে ফেন্সিডিল ৫২৪ বোতল, গাঁজা ৬১৬ কেজি ৩৫০ গ্রাম, ইয়াবা ২১৬৩ পিচ, টাপেন্টাডল ৯৪৪ পিচ, মদ ৪ বোতল ও ১০ লিটার। জুয়াড়ি আটক হয়েছে ৪৫ জন তাদের নামে পৃথকভাবে ৭ টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও ৬ রাউন্ড গুলি সহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ টি।

দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিষয়ে কোন প্রকার কোন ছাড় নেই। মাদক উদ্ধার অভিযান চলমান আছে।

এলাকার সূধী সমাজ জানিয়েছেন, দৌলতপুর থানায় ওসি রফিকুল ইসলাম যোগদানের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কমেছে অনেক পারিবারিক ঝামেলা ও মারামারি, সেবা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

মামলা বা অভিযোগ করতে যেতে হয় না কোন দালালের কাছে। জিডি করতে লাগেনা টাকা, বাদী নিজেই থানায় গিয়ে অভিযোগ বা মামলা করছেন। দৌলতপুর থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ওসি রফিকুলের যোগদানের পূর্বে ব্যাপক অবনতি হয়,৬ মাসে খুন হয়ে ছিল ১৪ জন, আতংকিত ছিল জনপথ।

রফিকুল ইসলাম যোগদানের পরে দৌলতপুর থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, পাল্টে গেছে দৃশ্যপট বলে জানান এলাকাবাসী। কমেছে অপরাধ। শান্তিতে বসবাস করছেন সাধারণ মানুষ। তাছাড়া মাদক ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক ওসি রফিকুল।

ওসি রফিকুল যোগদানের পূর্বে দৌলতপুর থানা খুনের রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। প্রতি মূহুর্তে সকল মানুষের ভিতরে ভয় কাজ করছিল। যে মারাগেছে সে জানেনা কেন আমাকে মারা হলো। আবার যে মেরেছিল সে জানেনা কেন সে মানুষকে হত্যা করলো। তাই সকল সময় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করত। কখন না জানি আমিও হত্যার শিকার হই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশিষ্ট জনেরা জানিয়েছে দৌলতপুর উপজেলার পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটা শান্ত থাকায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সাধারণ মানুষ তাদের খুশির কথা জানিয়েছেন।
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দৌলতপুরে ১৪ টি খুনের ঘটনা ঘটে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি লাজুক হয়ে যায়, মাদকের ব্যবসা জমজমাট অবাধে চলতেছিল। গত ২৩ জুন তারিখে পশ্চিম ওসি রফিকুল ইসলাম দৌলতপুরে থানায় যোগ দেয়ার পর পরিবেশ পাল্টে গেছে।

তিনি কঠিন সতর্ক বাণী বিভিন্ন এলাকায় সরিয়ে দেন, আইনশৃঙ্খলা উন্নতি হয়েছে, মারামারি অনেকটা কমে এসেছে। মাদকের ব্যবসা ঝিমিয়ে পড়েছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য যথারীতি থানায় সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হচ্ছে। এ সকল কাজ ওসি রফিকুল ইসলাম তদারকি করে যথাসময়ে মীমাংসার চেষ্টা করাই উত্তরোত্তর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হয়ে গেছে।

গত সোমবার সকালে দৌলতপুর থানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তিনি জানান, এ পর্যন্ত তাদের সাফল্য উঠে এসেছে। তিনি আরো বলেন আমি ফেরেশতা নয়, দু’একটি ক্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে, তবে সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেন, এলাকার পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। কোন এলাকায় সমাজবিরোধী রাষ্ট্রবিরোধী কাজ ঘটলে তিনি তাৎক্ষণিক জানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন।

মাদক চোরাচালান রাষ্ট্রবিরোধী যেকোন কর্মকান্ড জানলে তাৎক্ষণিক তার মোবাইল নম্বরে ফোন করার জন্য জানিয়েছেন। তিনি ২৪ ঘন্টা মোবাইল খোলা রাখেন যেকোনো পরিস্থিতি, যেকোনো সময় তার কাছে যে কেউ ফোন করতে কোন দ্বিধা না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি এলাকার রাজনীতিবিদদের সম্মান জানিয়ে বলেন, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাবেন, যত দিন পর্যন্ত দৌলতপুরে আছেন ততদিন তার নিজ দায়িত্ব পালনে সক্রিয় থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

পুলিশের কোন অফিসার কোনো অপকর্ম করলে, তিনি তাৎক্ষণিক তার ফোনে জানানোর জন্য বলেছেন। তিনি মাদক নির্মূলের জন্য চেষ্টা করছেন, তবে কিছু বাঁধা-বিপত্তির কথা তিনি জানান। তিনি বলেন একটি গোষ্ঠী মাদক ধরলে পুলিশের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা চেয়ে বসেন, তাদের সঙ্গে যথাযথ হাত না মিলালে আবোল তাবোল কিছু কথা বিভিন্ন সংবাদপত্র ও যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের অপকর্ম নামে অশ্লীল ভাষায় ছড়িয়ে দেয়া হয়।

প্রকৃত ঘটনা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের কারণে আমাদের মুড অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়।দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় কোনো ঘটনা দৌলতপুরে ঘটেনি।
এছাড়াও তিনি যোগাযোগ দানের পরে দৌলতপুর থানা দালাল মুক্ত হয়েছে। দালাল মুক্ত হওয়ার ব্যপারে এলাকাবাসী বলেন, ওসি রফিকুল ইসলাম যোগদানের পরে থানায় যে ব্যক্তির সমস্যা, সে গেলেই কাজ হয়। কোন লোক বা দালাল ধরা লাগেনা এবং সকল কাজ তাড়াতাড়ি হয়।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কঠিন এক পরিস্থিতির মাঝে দৌলতপুর থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য হাল ধরেছি। আপনাদের সকলে সহযোগিতায় আমি অনেকটা সফল হয়েছি। আমি দৌলতপুর থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি আরো বলেন বেশকয়েকদিন আমাকে ট্রোল করে স্থানীয় দৈনিক ও জাতীয় দৈনিকে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা,বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন,কিছু কুচক্রী মহল তাদের সার্থের হানি হওয়ায় এমটি করেছে, তার কোন বাস্তব দিক নেই।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 biplobidiganta.com

Design & Developed By : Anamul Rasel