খন্দকার জালাল উদ্দীন : দৌলতপুর থানায় ওসি রফিকুল ইসলাম যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই দৌলতপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে, তার নেতৃত্বে শুরু হয় বিভিন্ন মূখি অভিযান।
জানাগেছে ২৩ শে জুন থেকে অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৬৭ টি মাদক মামলা হয়েছে থানায়, আসামী গ্রেফতার হয়েছে ৮০ জন, উদ্ধার হয়েছে ফেন্সিডিল ৫২৪ বোতল, গাঁজা ৬১৬ কেজি ৩৫০ গ্রাম, ইয়াবা ২১৬৩ পিচ, টাপেন্টাডল ৯৪৪ পিচ, মদ ৪ বোতল ও ১০ লিটার। জুয়াড়ি আটক হয়েছে ৪৫ জন তাদের নামে পৃথকভাবে ৭ টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও ৬ রাউন্ড গুলি সহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ টি।
দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিষয়ে কোন প্রকার কোন ছাড় নেই। মাদক উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
কমেছে অনেক পারিবারিক ঝামেলা ও মারামারি, সেবা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। মামলা বা অভিযোগ করতে যেতে হয় না কোন দালালের কাছে। জিডি করতে লাগেনা টাকা, বাদী নিজেই থানায় গিয়ে অভিযোগ বা মামলা করছেন।
দৌলতপুর থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ওসি রফিকুলের যোগদানের পূর্বে ব্যাপক অবনতি হয়,৬ মাসে খুন হয়ে ছিল ১৪ জন, আতংকিত ছিল জনপথ।
রফিকুল ইসলাম যোগদানের পরে দৌলতপুর থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, পাল্টে গেছে দৃশ্যপট বলে জানান এলাকাবাসী, কমেছে অপরাধ। শান্তিতে বসবাস করছেন সাধারণ মানুষ। তাছাড়া মাদক ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক ওসি রফিকুল।
বিশিষ্ট জনেরা জানিয়েছে দৌলতপুর উপজেলার পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটা শান্ত থাকায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বস্থিতে আছে।
তিনি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজনীতিবিদদের। যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাবেন, যত দিন পর্যন্ত দৌলতপুরে আছেন ততদিন তার নিজ দায়িত্ব পালনে সক্রিয় থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, একটি চক্র মাদক ধরলে পুলিশের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা চেয়ে বসে, তাদের সঙ্গে যথাযথ হাত না মিলালে আবোল তাবোল কিছু কথা বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের অপকর্ম নামে অশ্লীল ভাষায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। প্রকৃত ঘটনা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের কারণে আমাদের মুড অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়।
আমি কঠিন এক পরিস্থিতির মাঝে দৌলতপুর থানায় যোগদান করি, এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য হাল ধরেছি। আপনাদের সকলে সহযোগিতায় আমি অনেকটা সফল হয়েছি।
আমি দৌলতপুর থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরো বলেন বেশকয়েকদিন আমাকে ট্রোল করে স্থানীয় দৈনিক ও জাতীয় দৈনিকে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা,বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন,কিছু কুচক্রী মহল তাদের সার্থের হানি হওয়ায় এমনটি করেছে, তার কোন বাস্তব দিক নেই।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি