খন্দকার জালাল উদ্দীন :কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাউছার আলী বিশ্বাস এর সন্তান রকিবুল হাসান রাজনসহ তার আরো তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দৌলতপুর উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম সংসদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর বেলা ১১টার সময় দৌলতপুর উপজেলা বাজারের প্রধান সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তরা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন, গত ১৩ অক্টোবর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউপি’র বিসিকে বাজারে ওই এলাকার প্রভাবশালী নূরে সলেমানের লোকজন মসজিদে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে অতর্কিতভাবে খোরশেদ আলমের বাড়ীর আঙ্গিনায় গিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তার বাড়ীতে গিয়ে আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর ও লুটপাটসহ খোরশেদ ও তার ছেলে ইমরানকে মারাত্বকভাবে আহত করে।
সেসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা কাউছার আলী বিশ্বাস এর ছেলে ও খোরশেদ আলমের জামাই রকিবুল হাসান রাজন ঘটনাটি জানার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নূরে সলেমানের লোকজনকে সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তারা অনুরোধ না শুনে রাজনের উপরে চালায় অমানবিক অত্যাচার। এসময় নূরে সলেমানের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রাজনকে টেনে হিঁচড়ে বিসিকে বাজারে নিয়ে মারধর শুরু করে। যেটা বিসিকে বাজারের বিভিন্ন দোকানের সিসিটিভি ফুটেজের পর্যালোচনা করলেই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে। পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরে পুলিশ নূরে সলেমানের লোকজনের নিকট থেকে অবৈধ সুবিধা গ্রহন করে পরবর্তীতে ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত না করেই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রাজনকেই উল্টো মিথ্যো মামলা দিয়ে তাকে প্রধান আসামী করে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। এঘটনায় রাজনের অপর তিনভাইসহ মোট আট জনের নামে উক্ত মামলায় আসামী করা হয়।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসমত মাষ্টার, হযরত আলী, আজিম উদ্দিন, চাঁন মহাম্মদ, নিজাম উদ্দিন, কাউছার আলী বিশ্বাস, দৌলতপুর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদের সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রজন্ম সংসদের সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব লেলিন, সাংঘঠনিক সম্পাদক সুজন আলী, তন্ময় ইসলাম প্রমূখ্য।মানববন্ধনে বক্তরা অবিলম্বে ঘটনাটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এই মামলাটি প্রত্যাহারের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামকে এ মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ঘটনাটি আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাওসার আলী ও নূর সোলেমান গ্র“ফের মধ্যে নানা বিষয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল,
গত ১৩ অক্টোবর বেলা ১১ টার দিকে জানতে পারলাম উভয় পক্ষের মধ্যে মসজিদের বিষয় নিয়ে মারামারি শুরু হয়েছে, একজন মারাত্মক যখন হয়েছে।
আমি এসপি সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে, তার পরামর্শ অনুযায়ী দুই পক্ষের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করি, এর মধ্যে কাউসার আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাজন ছিল, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে একজনের হাতে কোপ মেরে হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে, সে বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আপনারা জানেন ইতিপূর্বে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৌলতপুরে সপ্তাহে দুই তিনটা খুন হয়েছে । এ খুন এড়াতে উভয় পক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষের মামলা থানা রেকর্ড করেছে, যার নম্বর বাদী কাউছার গ্র“ফের জহুরুল, পিতা- দাউদ হোসেন, মামলা নম্বর ২১/৫২০ ও অপরটির বাদী খোরশেদ বেপারী পিতা- আব্দুল জলিল বেপারী। মামলা নম্বর ২৩/৫৫০ উপরের নির্দেশ অনুযায়ী মামলা গ্রহণ ও মাডার এড়াতে উভয় পক্ষের লোকদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।