খন্দকার জালাল উদ্দীন :কুষ্টিয়া দৌলতপুর দৌলতপুরে মশাউড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমি দখলের চেষ্টা কাজী বাকীর বিরুদ্ধে। উপজেলার মশাউড়া মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অশালীন ভাষায় গালাগালি করা ও বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে
১১ নং আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের কাজী আব্দুল হেল বাকীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে এমন অভিযোগ করেন মশাউড়া মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান মোহাম্মদ। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জান মুহাম্মাদ বলেন, ১৩৯ নং মশাউড়া মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে ৩৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত হয়। বিদ্যালয়টি ৬ জন শিক্ষক ও ২১০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে কোমলমতি শিশুদের লেখা পড়ার মান খুবই ভাল।
গত ০৩/১১/২০২৩ খ্রি: রোজ শুক্রবার মধ্যরাত হতে ভোর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে আশেপাশের লোকজনের চোখ ফাকি দিয়ে বিদ্যালয় সংলগ্ন জমি অবৈধ ভাবে দখল করে অত্র ইউনিয়নের কাজী আব্দুল হেল বাকী এবং ০৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর সাহেব তাদের লোকজন দিয়ে রাস্তা নির্মান করেছিলেন।
সকালে নির্মিত রাস্তাটি দেখার পর ছাত্র-ছাত্রী এবং সহকারী শিক্ষদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তাটি ভেঙ্গে ফেলে। কিন্তু পুনরায় তারা অবৈভাবে রাস্তা নির্মানের চেষ্টা করছে। পরে গত ৬ নভেম্বর সোমবার বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে আব্দুল হেল বাকী বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে বিদ্যালয়ে পুরুষ শিক্ষক,
বিদ্যালয়ের কাজে বাহিরে থাকায় নারী শিক্ষকদের অশালীন ভাষায় গালাগালি করে এবং প্রধান শিক্ষককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় । বিষয়টি শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি তদন্ত করে বিচার দাবি জানাই এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জমির মালিক সাহানা আলী ও মাহাবুল ইসলাম বলেন, আমরা উপস্থিত ছিলাম জমি দখল পন্ড করায় কাজী আব্দুল হেল বাকী শিক্ষকদের অশালীন ভাষায় গালাগালি করেছে এটা দুঃখজনক। স্কুলে পিছনে যে বাড়িগুলো আছে,
তারা বাড়িঘর নির্মানের পরে থেকেই স্কুলের জায়গা দিয়ে চলাফেরা করে, কোন দিন প্রধান শিক্ষক বা কেউ তাদের বাঁধা প্রদান করেন নাই। রাতের আঁধারে গোপনে জমি দখলের উদ্দেশ্যে রাস্তাটি নির্মান করা হয়েছে, বলে এলাতাবাসীর অভিযোগ।
এ বিষয়ে আব্দুল হেল বাকী বলেন, বিদ্যালয়ের পিছনে বেশ কিছু মানুষের বসতি আছে। তাদের চলাচলের জন্য বালি দিয়ে একটি রাস্তা নির্মান করা হয়েছিল। রাস্তাটি ভেঙে ফেলেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করলে, আমি বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে ছিলাম তবে কোন শিক্ষককে অশালীন ভাষায় গালাগালি আমি করি নাই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদা সিদ্দিকা বলেন, বিদ্যালয়ের রেজিস্টিকৃত জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রাস্তার নির্মান করছে বাকীর লোকজন এমন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিদ্যালয়ের জায়গা কোন ব্যক্তি দখল করতে পারেনা। আমরা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি