খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউপির গুরুড়া গ্রামেএক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে নালিশী জমিতে রাতে টিনের সাপরা ঘর তুলে ও কাটা তারের বেড়া দিয়ে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় জমির মালিক কোট থানার বারান্দায় সালিশ দরবারে কাগজ পত্র নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। জানাযায় উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউপি’র গুরুড়া গ্রামে প্রভাবশালী সাইফুল ও ওয়াশিমের মধ্যে দক্ষিণ গুরুড়া মৌজার খারিজ ৪৩৬ নং খতিয়ানের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিবাদ লেগে আছে।
এই নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। এই মামলায় জমির মালিক ওয়াশীম বিবাদী সাইফুল ইসলাম পিতা মোজাম্মেল হক দিগর সাথে জমির মামলা চালিয়ে প্রথমে নিম্ন কোটে হেরে গেলে পরে জজ কোটে রায় ডিগ্রি পেয়ে থাকেন।
এই রায় ডিগ্রির বলে ওয়াশীম জমি দখলে রেখে ভোগ দখল করে আসছে। গত ১১/১১/২০২৩ ইং তারিখে রাতে বিবাদী সাইফুল ইসলাম পিতা মোজাম্মেল হক, মোজাম্মেল, আবুল কালাম, আরিফ সহ ২০/২৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠি সুঠা, ধারাল অস্ত্রের মুখে নালিশী জমিতে জোর পূর্বক টিনের সাপরা ঘর ও তার কাটার বেড়া দিয়ে জমি দখল করে নেয়। এ ঘটনায় সহজ সরল ওয়াশিম নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি তদন্ত করে আপোষ মিমাংসার জন্য আদাবাড়ীয়া ইউপির বিট পুলিশ এস,আই সাইদ কে দায়িত্ব দিলে, তিনি সরজমিনে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে থানায় সালিসি বৈঠকের আহবান করেন। এই ঘটনায় সালিস বৈঠক হলেও চতুর ভুমি দৃশ্য সাইফুল ইসলাম সময়ের আবেদন করে আরেক তারিখ নেয়।
এই ঘটনায় থানা পুলিশ আর কোন সালিশ বৈঠক করতে না পেরে বাদী সাইফুল চরম হতাশার মধ্যে পড়েছেন। সে দির্ঘ্যদিন কোটে জমির মামলা চালিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলে জানাগেছে। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী।