খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ডাংমড়কা বাজারের তামাক ব্যবসায়ী লালন হোসেনের চুরি যাওয়া তামাক চোরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। চোর পলাতক রয়েছে। ব্যবসায়ী লালন হোসেন ডাংমড়কা গ্রামের আনছের সরদারের ছেলে।
বুধবার(২০ শে মার্চ) মধ্যে রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী লালন হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মত গতকাল রাত অনুমানিক ১২ টার দিকে আমার তামাকের গোডাউন তালা বদ্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। সকালে এসে দেখি গোডাউনের তালা কাটা।
গোডাউনে ভেতরে ঢুকে দেখি ১৩ বেল তামাক ও ক্যাস বাক্সে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকা চুরি হয়ে গেছে । প্রতি বেল তামাকের ওজন ৭২ কেজি করে, মোট তামাক ৯৩৬ কেজি। যার বাজার দর ২,০৫,৯২০ টাকা। সাথে সাথে আমার ঘরে থাকা সিসি ক্যামেরা দেখি এবং চুরি হওয়া সকল ফুটেজ পাই।
চুরিতে আট জন ব্যক্তি সংযুক্ত ছিলো। তাদের শরিরের গঠন দেখে অনুমান করতে পারি, পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার বাগোয়ান নতুন পাড়া গ্রামের মৃত অনছের আলীর ছেলে নানটু আলীর বসত ঘরের ভেতর থেকে আট বেল তামাক উদ্ধার হয়।
এ সময় মৃত অনছের আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম স্বীকার করেন তার ছেলে নানটু ও মৃত মহাবুলের ছেলে কমল হোসেন রাতে তামাক নিয়ে এসে রেখেছে।আমি এই ঘটনার তদন্ত করে চুরি সাথে জড়িত সকলের বিচার দাবি করছি।
এ সময় নানটু মা রোকেয়া বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন, কমল আলী ও আমার ছেলে নানটু সহ আর বেশ কয়জন রাতে এই তামাক নিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের চার নাম্বার ওয়ার্ডে মেম্বার মকলেছুর রহমান, এলাকাবাসী আব্দুল মমিন, বাবোর হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের শাসন আমলে মানুষ যখন নিরাপদে ঘুমায় তখন এক শ্রেণীর মানুষ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য ধরনের কাজ করে থাকে।
তাই এদের সঠিক বিচার হওয়া উচিত। না হলে মানুষ সরকারও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবে। চুরি যাওয়া তামাক উদ্ধারে দৌলতপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রাকিব হাচান সহ অফিসার ফোর্স ঘটনা স্থানে উপস্থিত হয়ে তামাক ব্যবসায়ী ও সকল মানুষকে চুরির সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
সম্পাদক : খন্দকার জালাল উদ্দিন
সম্পাদকীয় কার্যালয়: খন্দকার সুপার মার্কেট , (২য় তালা ) আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।
মোবাইল : ০১৭১৮-১৬৪২৬৬, ই-মেইল: uddinjalal030@gmail.com
ই-পেপার কপি