পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ
দৌলতপুর থানার ওসি প্রত্যাহার সিদ্ধান্ত এলাকার অপূরনীয় ক্ষতি
খন্দকার জালাল উদ্দিন: প্রশাসনিক কারণে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কে প্রত্যাহার এবং তদস্থলে নতুন অফিসার ইনচার্জকে বদলির সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার ২৪ মে ই্সির উপ-সচিব মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দৌলতপুর থানায় ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম ২২ জুন ২০২৩ যোগদানের পর পাল্টে যায় দৌলতপুর এলাকার ভাব মূর্তি। ২০২৩ সালে মে মাসে খুন হয় ৭ জন, এরমধ্যে সবচেয়ে বড় খুন মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলা গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে ১৪ জুন ২৩ তারিখে দুই জনকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং আহত হয় ২৫ জন।
আমদহ গ্রামে কর্তৃপক্ষের হামলায় আবুল হোসেন ৬ জুন আহত হয় এবং পরে ২৮ শে মে রবিবার মারা যায়। ১০ জুন ভাতিজার হাতে খুন হয়, মাহফুজুল হক নামে এক মুরুব্বী, আড়িয়া ইউনিয়নের বড় পাকোলা গ্রামে। এ ভাবে ১১ জন খুন ও অগণিত আহত হয়, যা তৎকালিন প্রত্রিকা গুলি খুজলে পাওয়া যাবে তথ্য।
এভাবে ওসি রফিকুল ইসলাম যোগদানের আগে খুন, ধর্ষণ, জখম, দলাদলি জমিজমার বিরোধ ইত্যাদি দৌলতপুরের নিত্যদিনের খবর হিসাবে দেখা যায়। কিন্তু ওসি রফিকুল ইসলামের যোগদানের পর এ ধরনের হত্যাকান্ড হয়নি বললেই চলে, বিরোধ কমে গেছে জিরোতে, মাদক ব্যবসায়ী অনেকটাই কম, থানায় অফিসার যারা আছেন তাদের অনেক অপকর্ম কমে গেছে বলে এলাকাবাসী জানাই।
যে কারণে ওসির প্রত্যাহার আদেশ, সে বিষয়টিও তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে এলাকাবাসী।
কাজেই ওসি রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহার মানে দৌলতপুরবাসীর অনেকখানিই ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনার জন্য এলাকাবাসী পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।